খেলার সময় ঝগড়া করছিল শিশুরা, শাসন করায় বাধল সংঘর্ষ


প্রকাশের সময় : ডিসেম্বর ৫, ২০২৩, ৬:৫৭ PM
খেলার সময় ঝগড়া করছিল শিশুরা, শাসন করায় বাধল সংঘর্ষ

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে জনপ্রতিনিধিসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার জগন্নাথপুর উপজেলার কুবাজপুরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে রানীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান মিলাদ আহমেদ (৩৮), ফারহাদ মিয়া (৪৮), ইজ্জদ আলী (৪৫), ইছুব আলী (৩৫), হাসান মিয়া (২২), গোলাপ মিয়া (৩৮), মাজেদা বেগম মিয়া (২২), খেলা বেগম (৪০), শিলা বেগমের (৪৫) নাম জানা গেছে। তাদের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

জানা গেছে, গতকাল সোমবার বেলা ১১টায় ফুটবল খেলার সময় ঝগড়া শুরু করে শিশুরা। বিষয়টি প্যানেল চেয়ারম্যান মিলাদ দেখতে পেয়ে সেখানে গিয়ে তাদের শাসন করেন। এ নিয়ে ওইদিন রাতে শিবগঞ্জ বাজারে কুবাজপুর গ্রামের ঐয়ার মিয়া ও প্যানেল চেয়ারম্যান মিলাদের লোকজনের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। খবর পেয়ে জগন্নাথপুর থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) নুরে আলম ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।

এর জের ধরে আজ সকাল ৯টায় ফের ঐয়ার মিয়া লোকজন নিয়ে মিলাদের বাড়ি হামলা করেন। প্রথমে দুই পক্ষের মধ্যে কথাকাটাকাটি একপর্যায়ে হাতাহাতি শুরু হয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে দুই পক্ষের লোকজন লাঠি, রামদা, ছুরি, টেটা-বল্লমসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। ঘণ্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

সংঘর্ষের পর জগন্নাথপুর সার্কেল শুভাশিস ধর ও জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

এ বিষয়ে প্যানেল চেয়ারম্যান মিলাদ আহমেদ বলেন, ‘গতকাল ছোট বাচ্চারা ফুটবল খেলার সময় ঝগড়া করছিল। তখন আমি শাসন করছিলাম। এটার জের ধরে ঐয়ার মিয়ার লোকজন আমার বাড়িতে হামলা চালায়।’

এ অভিযোগের বিষয়ে জানতে ঐয়ার মিয়ার মোবাইলে একাধিকবার ফোন দিয়েও পাওয়া যায়নি।

জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, ‘এ ঘটনায় কোনো পক্ষ এখনো মামলা করেনি।

https://www.bkash.com/