ভালুকা প্রতিনিধি ঃ ভালুকায় রাতের আঁধারে এক খামারীর প্রায় ৮ লাখ টাকার মাছ ও মাছের খাদ্য লুট করে নিয়ে গেছে প্রতিপক্ষরা। এ সময় খামারের পাশে খাদ্য রাখার ঘরের আসবাবপত্র ও দরজা জানালা ভাঙচুর করা হয়। ওই ঘটনায় ২৪ অক্টোবর ময়মনসিংহের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে কামাল হোসেন, আব্দুর রশিদ, আব্দুল করিম, আসাদুজ্জামান, মোহাম্মদ আলী ও আহম্মদ আলীর নাম উল্লেখসহ আরও অজ্ঞাত ৪০/৫০ জনের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে একটি মামলা (নম্বর-১৪২) দায়ের করেছেন।
মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বিরুনীয়া গ্রামের মুক্তিযোদ্ধ মৃত এমএ মোতালেব মিয়ার ছেলে আক্তারুজ্জামান স্থানীয় গড়খালী বিলে পৈত্রিক ও লীজ নেয়া প্রায় ১০ একর জমিতে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন প্রজাতীয় মাছের চাষ করে আসছিলেন। মাছ চাষে ব্যাপক সফলতার কারণে এবং জমির মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় সম্প্রতি স্থানীয় আব্দুর করিমের ছেলে কামাল হোসেন ও আব্দুর রশিদসহ কতিপয় লোক খামার মালিকের কাছে ৫লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। কিন্তু তিনি তা দিতে অস্বীকৃতি জানালে মাছ লুট করে নিয়ে যাওয়ার হুমকী দেয়। এরই জের হিসেবে গত বৃহস্পতিবার রাতে উক্ত কামাল ও রশিদের নেতৃত্বে ৪০/৫০ জন দেশিয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে মাছের খামারের পাশে হামলা চালায়। এ সময় হামলাকারীরা ঘরের দরজা, জানালা ভাঙচুর করে ঘরে রাখা প্রায় লক্ষাধিক টাকার মাছের খাদ্য লুট ১০/১৫ টি ভ্যান গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। পরে তার ঘরে রাখা খামারের কাজে ব্যবহৃত বেড়জালটি নিয়ে রাতব্যাপী খামার থেকে প্রায় ৬ লাখ টাকার বিভিন্ন প্রজাতীয় মাছও লুট করে নিয়ে যায়।
খামার মালিক আক্তারুজ্জামান জানান, কামাল ও রশিদের সাথে দীর্ঘদিন ধরে জমি সংক্রান্ত বিরোধ ছিল এবং এ নিয়ে আদালতে মামলা চলমান আছে। ঘটনার রাতে কামাল ও রশিদের নেতৃত্বে হামলার সময় আমি ওই ঘরেই ছিলাম। তাদের ভয়ে আমি পালিয়ে গিয়ে জীবন রক্ষা করি। পরে তারা আমার মাছের খাদ্য ও খামারের মাছ লুট করে নিয়ে যায়। যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় সাড়ে ৮ লাখ টাকার মতো হবে।
অভিযুক্ত কামাল হোসেন বা আব্দুর রশিদের কাছ থেকে এ ব্যাপারে মন্তব্য নেয়ার জন্য বার চেষ্টা করেও তাদের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
আপনার মতামত লিখুন :