ফুলবাড়ীয়া নিউজ 24 ডটকম : হামলায় অন্তত ১৬০ নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে হামলাকারী ৮ জনের প্রত্যেকেই মারা পুলিশের গুলিতে মারা গেছেন। হামলাকারীদের কয়েকজন নিজেরাই আত্মঘাতি এ হামলা চালাতে মারা যান বলে জানিয়েছে পুলিশ। প্যারিস নগরীর কয়েকটি রেস্তোরাঁ, বার, স্টেডিয়ামে প্রায় একই সময় ওই হামলা ঘটে। বোমা বিস্ফোরণ ও গুলির শব্দে প্যারিস প্রকম্পিত হয়ে পড়ে। হামলাকারীরা কালাশনিকভ রাইফেল ব্যবহার করে বলে জানা গেছে। পুলিশের পাল্টা হামলায় অন্তত তিন হামলাকারী নিহত হয়েছে। এ হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেছে আইএস।
তবে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের অন্তত ছয়টি স্থানে সন্ত্রাসী হামলায় কমপক্ষে ১৬০ জন নিহত হওয়ার কথা বলা হলেও নিহতের সংখ্যা নিয়ে বিভিন্ন মিডিয়া বিভিন্ন সংখ্যা উল্লেখ করছে। এই হামলার ঘটনায় প্যারিস শহরের কেন্দ্রস্থলে বাটাক্লঁ কনসার্ট হলেই অন্তত ১২০ জন নিহত হন। পরে হামলাকারীরা ওই হলে অনেককে জিম্মি করলে পুলিশ ভারী অস্ত্রসহ সেখানে অভিযান চালায়। এতে তিন হামলাকারী নিহত হয়েছে বলে আল জাজিরার খবরে জানানো হয়েছে।
অন্য হামলাগুলো হয়েছে কয়েকটি বার ও রেস্তোরাঁয়। এর মধ্যে স্টেডিয়ামের কাছের ঘটনাটি আত্মঘাতী হামলা বলে ধারণা করা হচ্ছে। এসব হামলায় কম্বোডিয়ান একটি রেস্তোরাঁয় ১৪ জন, একটি পানশালার বাইরে ১৯ জন, একটি অ্যাভিনিউতে চারজন এবং নগরের বাইরে এক স্থানে চারজন নিহত হয়েছেন। একজন সাংবাদিকের উদ্ধৃতি দিয়ে গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘তারা অন্ধের মতো গুলি চালাচ্ছিল। যে যেদিকে পারে দৌড়ে বাঁচার চেষ্টা করছিল। আমি বহু মানুষকে গুলি খেয়ে পড়ে যেতে দেখেছি।’
এ ঘটনার পর ফ্রান্সে প্রথমে জরুরি অবস্থা জারি করেন প্রেসিডেন্ট ফাঁসোয়া ওঁলাদ। পরে জরুরি অবস্থা শিথীল করা হয়। হামলার পরে সে দেশের সব সীমান্ত বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। প্যারিসবাসীকে ঘরে থাকতে বলা হয়েছে। জার্মানির বিপক্ষে ফ্রান্সের ফুটবল টিমের খেলা চলার সময় স্টেড দ্য ফ্রান্স নামের স্টেডিয়ামটিতে বিস্ফোরণের শব্দও পাওয়া গেছে। সে সময় ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফাঁসোয়া ওঁলাদ স্টেডিয়ামে খেলা দেখছিলেন বলে জানা গেছে।
শহরের একটি এশিয়ার রেস্তোরার সামনে অন্তত দশজনকে পড়ে থাকতে দেখেছেন বিবিসির এক সংবা“াতা। এক বন্দুকধারীকে আধা স্বয়ংক্রিয় বন্দুক দিয়ে গুলি চালাতে দেখা গেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা বিবিসিকে জানিয়েছেন। হামলাকারীরা বাতাক্লান কনসার্ট হলে শতাধিক লোককে আটক করে রেখেছিল। মধ্যরাতের পর ভারী অস্ত্রে সজ্জিত পুলিশ সেখানে হামলা চালায়। এ সময় বিপুলসংখ্যক লোক নিহত হয়। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, এই হামলা ছিল সংঘবদ্ধ। তবে তবে এই হামলা সংঘবদ্ধ এবং পরিকল্পিত কিনা, তা এখনি বলা সম্ভব নয় বলে প্যারিসের পুলিশ জানিয়েছে।
এ ঘটনায় ফ্যান্সজুড়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ফ্রাসোয়া হল্যান্ড। দেশের সব সীমান্ত বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণাও দেন তিনি। সিএনএন জানিয়েছে, জাতীয় ফুটবল স্টেডিয়াম স্ট্যাড ডি ফ্রান্সের কাছে একটি পানশালায় তিনটি বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। স্টেডিয়ামে ফ্রান্স ও জার্মানির ফুটবল ম্যাচ চলছিল।
জানা গেছে, এখানে বসেই খেলা দেখছিলেন প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাদঁ। তাঁকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। স্টেডিয়াম থেকে তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কার্যালয়ের দিকে ছুটে গেছেন।
প্যারিস থেকে ছাত্র ফ্যাবিয়েন ব্যারন বলেন, আমি আমার বোনের কাছে যাচ্ছিলাম, পথে বেশ কিছু গুলির শব্দ শুনি। এরপর আমি দেখি, তিন ব্যক্তি রাস্তায় মরে পড়ে আছে। তাদের মরদেহ প্লাস্টিক ব্যাগে মুড়িয়ে রাখা হয়েছে।
শহরের অন্তত ৫টি এলাকা এবং স্টেডিয়ামে প্রায় একই সময় ওই হামলাগুলো ঘটে। প্যারিসের একটি এশিয়ান রেস্তোরা আর একটি কনসার্ট হলেও হামলা করে বন্দুকধারীরা। ওই হলটিতে কমপক্ষে ১০০ জনকে জিম্মি করা হয়। উদ্ধারকারিদের হাতে জিম্মিকারিদের ২জন বন্দুকধারী নিহত হয় বলে জানা গেছে। জার্মানির বিপক্ষে ফ্রান্সের ফুটবল টিমের খেলা চলার সময় স্টেড দ্য ফ্রান্স নামের স্টেডিয়ামটিতে বিস্ফোরণের শব্দও পাওয়া গেছে।
ফ্রান্সে বিক্ষোভ
সে সময় ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফাঁসোয়া ওঁলাদ স্টেডিয়ামে খেলা দেখছিলেন বলে জানা গেছে। তবে তিনি নিরাপদেই আছেন। শহরের একটি এশিয়ার রেস্তোরার সামনে অন্তত দশজনকে পড়ে থাকতে দেখেছেন বিবিসির একজন সংবা“াতা।
একজন বন্দুকধারীকে আধা স্বয়ংক্রিয় বন্দুক দিয়ে গুলি চালাতে দেখা গেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা বিবিসিকে জানিয়েছেন। পরে বন্দুকধারী সেখান থেকে পালিয়ে যায়। তবে এই হামলা পরিকল্পিত কিনা, তা এখনি বলা সম্ভব নয় বলে প্যারিসের পুলিশ জানিয়েছে। এদিকে এক বার্তায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি বারাক ওবামা জানিয়েছেন এই দুঃসময়ে মার্কিন জনগণ ফ্রান্সের পাশে রয়েছে। সূত্র: সূত্র : রয়টার্স, বিবিসি,আল জাজিরা,সিএনএন ও প্রেসটিভি।
সূত্র- ইন্টারনটে
আপনার মতামত লিখুন :