ডেস্ক রিপোর্ট : যদি জামায়াত ইসলামী ক্ষমতায় যায় তাহলে অমুসলিমরা সবচেয়ে বেশি নিরাপত্তা লাভ করবে। আপনারা দেখেছেন বিগত পূজায় ৫ তারিখের পরে যতগুলো দূর্ঘটনা ঘটেছে জামায়াত ইসলামীর মাধ্যমে কোন দূর্ঘটনা ঘটেছে কী? কোথাও কোন প্রমাণ দেখাতে পারবেন যে জামায়াত ইসলামীর কোন নেতা কোন হিন্দুর সম্পত্তি দখল করেছে? চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বলে যেতে চাই, আমার কোন নেতা কর্মী এই এলাকায় কোন হিন্দু সম্পত্তির দিকে চোখ তুলে তাকায় আমরা অবশ্যই তার বিচারের ব্যবস্থা করবো এবং কোনভাবেই কোন অমুসলিম নাগরিককে অমর্যাদাকর কথা, তাকে কোনভাবেই এ রাষ্ট্রের নিরাপত্তা থেকে দূরে রাখা অথবা তার সম্পত্তির উপর আঘাত আসা, তার জানমালের উপর আঘাত আসা এসব যদি আসে তাহলে সবার আগে জামায়াতের নেতা কর্মীরা তাকে বুক পেতে দাঁড়িয়ে রক্ষা করবে। এটা হল জামায়াতের নীতি ও মুসলমানদের ঈমানী দায়িত্ব। আমরা নির্ভয়ে বলতে চাই নিশ্চিতভাবে অমুসলিমরা এ দেশে বসবাস করবে যেমনটি মুসলিমরা বসবাস করবে।

বিগত দিনে লেখাপড়ার নামে যে কারিকুলাম দেওয়া হয়েছিল এর মাধ্যমে যে মানুষ তৈরি হত, তাদের দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা সম্ভব হত না। তখন পাশের দেশ থেকে ম্যান পাওয়ার এনে (ডিসি এসপি) দেশ পরিচালনা করতে হতো। পুরাতন সিলেবাসকে চালু করায় আমরা বর্তমান সরকারকে সাধুবাদ জানাই। আমরা এতেও সন্তুষ্ট নই। আমরা এ সরকারের কাছে দাবী জানাতে চাই, এদেশের মাটি ও মানুষের সাথে সম্পর্কিত এদেশের নীতি নৈতিকতা ধর্মীয় মূল্যবোধের আলোকে শিক্ষা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানোর জন্য দাবী জানাই।

ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার রাঙ্গামাটিয়া ইউনিয়নের আকতা চৌরাস্তা মোড়ে শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ইউনিয়ন জামায়াতের কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর অধ্যক্ষ মু. কামরুল হাসান মিলন এ সব কথা বলেন।
ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর মোহাম্মদ ইউসুফ আলীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফা। এ সময় বক্তব্য রাখেন জামায়াত নেতা মকবুল হোসেন আজাদ, আবু সাইদ আকন্দ, মাও আবু বকর ছিদ্দিক, আনন্দ মোহন কলেজ ছাত্র শিবির সভাপতি হাসিবুল ইসলাম হৃদয়। সঞ্চালনায় ইউনিয়ন জামায়াত নেতা মাওলানা আনোয়ার হোসেন সিরাজী।