• মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:০৮ অপরাহ্ন

৫ ঘন্টা কর্মবিরতি শেষে কাজে নার্সিং ও মিডওয়াইফারির কর্মকর্তারা

ফুলবাড়িয়া নিউজ / ১৪১ পঠিত
আপডেট : বুধবার, ৯ অক্টোবর, ২০২৪

ময়মনসিংহ: বুধবার (৯ অক্টোবর) সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রশাসনিক ভবনের পাশে কর্মবিরতি পালন করেন নার্সিং ও মিডওয়াইফারি নার্সিং কর্মকর্তারা।
জানা যায়,নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, অতিরিক্ত মহাপরিচালক, পরিচালক এবং বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ও রেজিস্টার পদ থেকে সকল ক্যাডার কর্মকর্তাদের অপসারণপূর্বক উক্ত পদগুলোতে নার্সিং কর্মকর্তাদের পদায়নের ১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ করে ৫ ঘন্টা কর্ম বিরতি পালন করেছেন নার্স ও মিডওয়াইফারি কর্মকর্তারা। তবে রোগীদের কোন সমস্যা না হয় সে জন্য জরুরি স্কোয়াডে নার্স- প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
আরো জানা যায় যে, কিন্তু গত ৬ অক্টোবর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সাময়িকভাবে দুজন নার্সিং কর্মকর্তাকে অধিদপ্তরে পরিচালক পদে পূর্ণ দায়িত্ব না দিয়ে নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত দায়িত্বে পদায়ন করে। সকল স্তরের নার্সরা এই প্রজ্ঞাপন ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। নার্স সমাজ যথেষ্ট ধৈর্যশীলতার পরিচয় দিয়ে আসছে।
এ কারণে ফের কর্মবিরতির ডাক দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন নার্সরা।দাবি মানা না হলে কমপ্লিট শাটডাউনের মতো কর্মসূচি দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তারা।
জরুরী বিভাগ, ডায়লসিস,আইসিইউ, সিসিইউ, ইমারজেন্সি ওটিসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডে নার্স কর্মরত আছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন মমেক হাসপাতালের নার্সিং সেবা তত্ত্বাবধায়ক হামিদা বেগম,আন্দোলনের বিভাগীয় সমন্নয়ক মিজানুর রহমান,নার্সিং কর্মকর্তা রাশিদা খাতুন, লুৎফুর রহমান,আব্দুল লতিফ মিন্টু তালুকদার,নাছিমা সরকার,আজিজুল হক,শামীমা সরকার,আনোয়ারুল হক,মাসুমা পারভীন,লায়লাতুল ফেরদৌসী,মনোয়ারা খাতুন,আক্তার হোসেন,নাসরিন পারভীন, আব্দুল মান্নান, শাহানাজ পারভীন,শান্তারা আক্তার,শাহিদা পারভীন,শাহানাজ মুক্তা,শাহানারা বেগম শানু,আম্বিয়া আক্তার,মিনহাজুল আবেদীন প্রমুখ।
আন্দোলনের বিভাগীয় সমন্বয়ক মিজানুর রহমান বলেন, আমাদের দাবি মানা না হলে কমপ্লিট শাটডাউনের মতো কর্মসূচি দেওয়া হবে। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে দাবিগুলো পূরণ না হলে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব এবং কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি দিব। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১ হাজার শয্যার বিপরীতে প্রতিদিন গড়ে রোগী ভর্তি থাকে ৩ থেকে ৪ হাজার জন। এসব রোগীদের সেবার জন্য হাসপাতালটিতে নার্সের সংখ্যা রয়েছে প্রায় ১২শ।
নার্সিং কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ মিন্টু তালুকদার বলেন,আমাদের এক দফা দাবি হলো নার্সদের মাঝে যোগ্য ও পিএইচডি করা নার্সিং কর্মকর্তা রয়েছে।পদে নার্সদের প্রধান দিতে হবে।অন্তবর্তী কালীন সরকারের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা মহোদয় ও মাননীয় স্বাস্থ্য উপদেষ্টা মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মমেক হাসপাতালের নার্সিং সেবা তত্ত্বাবধায়ক হামিদা বেগম বলেন,আমাদের দাবি মানা না হলে আমরা রাজপথ ছাড়বো না। সামনে কঠোর আন্দোলনে যাবো।
মমেক হাসপাতালের ১৩ নং ওয়ার্ডের ভর্তি কৃত রোগী সাকিব (২১)রেজিষ্ট্রেশন -২৩৯৬৩১/২৭১পিতা মোঃ ফজলুল বলেন,কর্মবিরতির ফলে দুর্ভোগ পোহাতে আমাদের।কর্মবিরতির ফলে মমেক হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডের ভর্তিকৃত রোগীদের সমস্যা হচ্ছে।

নাম প্রকাশে ইচ্ছুক একাধিক ডাক্তার বলেন,নার্সদের দাবি যৌক্তিক। নার্সদের মাঝে যোগ্য নার্স রয়েছে অনেক। তাদের অধিদপ্তর তারা চালাবে আমাদের সমস্যা কীসের?
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরো মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডাঃ মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান, নার্সদের আজকের ৫ ঘন্টার কর্ম বিরতিতে আমাদের ওয়াড চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।রোগী হলো প্রায় একশ জরুরি ভাবে দুইজন নার্স রয়েছে।দুইজন নার্স দিয়ে তো একশতাধিক রোগী ম্যানেজ করা সম্ভব না।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও খবর
https://slotbet.online/