ডেস্ক রিপোর্ট : ছেলে হত্যার বিচার দাবী করে এক সন্তানহারা মা বিলাপ করে বলেন, আমার মত যাতে আর কোন মায়ের বুক খালি না হয়। আমার ছেলে কেন গুলি খেল, সে তো কোন সন্ত্রাসী ছিল না, তার কী অপরাধ ছিল? আমার ছেলে কোন বিয়ে সাধি করে নাই। তার যদি কোন সন্তান থাকত, তাহলে, মানুষ বলত, এটা রাকিবের ছেলে। আমার তো সবশেষ হয়ে গেছে। আমার দুই সন্তান ছিল তাদেরকে পানিতে পড়তে দেই নাই, আগুনে পুড়তে দেই নাই। কত মায়ের বুক খালি হয়েছে, আমার ছেলে অনেক সাহসী ছিল। মা জোসনা খাতুনের বিলাপে উপস্থিত সকলের চোখে পানি চলে আসে। এ সময় রাকিবের দাদী মা রোকেয়া বেগমও বিলাপ করতে থাকেন।
রাকিবের বড় ভাই বলেন, আমার ভাইকে হাসপাতাল থেকে যখন ডাক্তাররা বলল, উনি মারা গেছে, তখন পুলিশ কেন ৫টা দিন টানা হেচড়া করল। আমার মা কেন সন্তানহারা হল? আমাদের একটাই চাওয়া। আমার ভাই যেন শহীদী মর্যাদা পায়।
সোমবার (২০ আগস্ট) বিকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) কাবেরী জালাল ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন নেতাদের সাথে নিয়ে নিহতের বাড়ী ফুলবাড়িয়া উপজেলার নাওগাও ইউনিয়নের সন্তোষপুর বাড়িতে গেলে এক হৃদয় বিদারক ঘটনার সৃষ্টি হয়। এ সময় নগদ আর্থিক সহযোগিতার পাশাপাশি আগামীতে সরকারী সকল সুযোগ সুবিধার আশ্বাস দেন ইউএনও।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এর প্রতিনিধি টিমের এম শাহরিয়ার আহমেদ অশ্রু, আবু নাহিদ, শাহরিয়ার সানজিদ অনিক, আদরিয়ান সোহান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
গত ১৯ জুলাই শুক্রবার কোটা সংস্কার ও বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন চলাকালীন ঢাকার উত্তরা হাউজ বিল্ডিং এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয় রাকিব (২২)। মাথায় দুটি গুলি লেগে একটি ডান কানের উপর দিয়ে আরেক পাশ দিয়ে মগজসহ বেরিয়ে যায়। আরেকটি গুলি মাথায় আটকে যায়। তাকে উদ্বার করে প্রথমে উত্তরা কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে আগারগাঁও নিউরোসাইন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে ২২ জুলাই সোমবার দুপুরে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
অপরদিকে ফুলবাড়িয়া পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের ভালুকজান গ্রামের মৃত নেকবর আলীর ছেলে তোফাজ্জল হোসেন খান (২৭) এর বাড়ীতে গেলে একই ঘটনার সৃষ্টি হয়। তোফাজ্জল মিরপুর-১১ তে রডমিস্ত্রির কাজ করতেন। ছাত্র আন্দোলনের বিজয় মিছিলে গিয়ে ৫ আগস্ট মিরপুর ২ নম্বরে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায় সে।
https://slotbet.online/