ডেস্ক রিপোর্ট : ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার বাকতা ইউনিয়নের কৈয়ারচালা (মাঝি বাড়ি) গ্রামের রবেন মাঝির জমি বেদখলের চেষ্টা করেছে স্থানীয় প্রতিবেশি ইসলাম গং। খবর পেয়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত হয়ে মাঝির জমি বুঝিয়ে দিয়ে আসেন। এর আগে ২০১৪ সালে এরাই এই বাড়িতে আগুন দিয়ে দুটি গরু সহ জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করেছিল।
রবেন মাঝি জানান, আমার বাড়ী ভিটার দক্ষিনে পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া ৪২ শতক জমি। এই জমির প্রতি তাদের লোভ। আমি নিরীহ মানুষ। মাঝিগিরি করে আমার সংসার চলে। আমার ৩ ছেলে, ২ মেয়ে। আবাদী কোন জমি নাই। আমি প্রায় প্রতিদিন ভোররাতে জাল বাইতে চলে যাই আবার শেষরাতে আসি। আমাকে নিরীহ পেয়ে সব সময় রমজানের পুত্র ইসলাম, রফিজ মহুরী ও রহিম এরা তিন ভাই আমাকে নির্যাতন করে। আমরা অসহায় মানুষ ঐ জমিটুকুর লোভ ওরা সামলাতে পারে না। রমজান মহুরী কোর্টে মহুরীগিরি করে। মাঝে মধ্যে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ভুয়া কাগজ বানিয়ে এনে আমাদের জ¦ালাতন করে। এর আগে যখন আমার বাড়িতে আগুন দেয় তখন আমাকে ইউএনও স্যার (বনানী স্যার) তার কাগজপত্র বাতিল করে আমাকে চুড়ান্ত ফয়সালা করে দেয়।
রবেন স্ত্রী রেখা রানী বলেন, ইসলামরা তিন ভাই, ভাতিজা মিলে শুক্রবার সকালে আমাদের জমিতে এসে গাছ লাগিয়ে বেড়া দিয়ে বলে, গাছ ভাঙলে অথবা ছাগলে খাইলে জরিমানা দিতে হবে। সরকারী অর্ডার আছে। আমার জামাই জাল বাইতে সকালে গেছে গা। বিকালে আইলে আমরা শাহজাহান কমিশনারকে জানাই তারা সেনাবাহিনীকে খবর দেয়। ঐদিনই বৈকালে সেনাবাহিনী ও নেতারা এসে আমাকে জমিন বুঝাইয়া দিয়া গেছে। কিছুদিন পর পর এরা (ইসলাম গংরা) এ রকম করে আমি এর সুক্ষ বিচার চাই।
পৌরসভার সাবেক কমিশনার শাহজাহান বলেন, রবেন মাঝির পূর্ব পুরুষরা আমাদের বাড়িতে কাম কাজ করত। শুক্রবারের দিন বিকালে ওরা আমার বাড়িতে এলে ঘটনা শুনে আমাদের নেতাদের সাথে পরামর্শ করে ওসি সাহেবকে বিষয়টি অবগত করি। তিনি আমাদের নেতাদের উপস্থিতিতে সেনাবাহিনীর সহায়তায় মাঝির জমি বুঝিয়ে দিয়ে আসেন।
এ সময় বিএনপি নেতা সাইফুল ইসলাম বাদল, আবুল ফজল, আসাদুজ্জামান আসাদ, জাকির হোসেন খান বাপ্পী, রনি সরকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
https://slotbet.online/