ভারতীয় পেস বোলিংয়ে নতুন দিনের সূচনা করেছিলেন মোহাম্মদ শামি। তার হাত ধরেই বলা চলে এখনকার ভারতের বোলাররা বিশ্ব দরবারে দাপট দেখাতে শুরু করেছে। তবে জীবনে চলার পথ সব সময় মসৃণ হয়নি এই তারকার। তাকে অনেক সংঘাতের মধ্যদিয়ে যেতে হয়েছে। শামির সেই খারাপ সময়ের একটা অংশ সকলের সামনে তুলে ধরলেন তার বন্ধু উমেশ কুমার।
একটি পডকাস্টে উমেশ জানান, শামির সাবেক স্ত্রী হাসিন জাহান একবার ভারত বনাম পাকিস্তানের একটি ম্যাচকে কেন্দ্র করে তার বিরুদ্ধে ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগ তুলেছিলেন। সেই সময় শামি মানসিক ভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েন।
২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর ওয়ানডে বিশ্বকাপে শামিকে শেষ বারের মতো ভারতের জার্সিতে খেলতে দেখা গিয়েছিল। তার পর থেকে গোড়ালির চোটের কারণে তিনি দীর্ঘ দিন মাঠের বাইরে। তবে চোট সারিয়ে ভারতীয় দলে ফের প্রত্যাবর্তন ঘটতে পারে তার।
পডকাস্টে উমেশ বলেন, ‘ওই সময় শামি আমার সঙ্গে থাকত। যে দিন তার বিরুদ্ধে ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগ ওঠে সে দিন ও খুবই ভেঙে পড়েছিল। শামি আমাকে জানিয়েছিল, সব অভিযোগ মেনে নিলেও ম্যাচ গড়াপেটার মতো জঘন্য অপরাধ ও করেনি এবং এটা মানতে ও নারাজ।’
তিনি আরও বলেন, ‘শামি নিজেকে শেষ করার সিদ্ধান্তও নিয়েছিল। একদিন রাতে ও ১৯ তলার বারান্দা থেকে ঝাঁপ দেওয়ার জন্য দাঁড়িয়ে ছিল। তখন ঘড়িতে ভোর ৪টা বাজে। আমি জল খাওয়ার জন্য উঠেছিলাম। রান্নাঘরের দিকে যাওয়ার সময় দেখি শামি বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে। আমরা ১৯ তলায় থাকতাম। আমি বুঝতে পেরেছিলাম ওর মধ্যে তখন কি চলছিল। ওই রাতটা শামির জীবনে সব চেয়ে কঠিন এবং লম্বা রাত ছিল।’
উমেশ জানান, পরে তদন্তে দেখা গিয়েছিল শামি নির্দোষ। ২০২৩ সালে ভারত বিশ্বকাপ জিতলে শামি যতটা না খুশি হতেন, তার চেয়ে অনেক বেশি খুশি হয়েছিলেন যে দিন জানতে পারেন তিনি নির্দোষ।
গত ওয়ানডে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ উইকেট (২৪) শিকারি ছিলেন শামি। তারপর থেকেই গোড়ালির চোটের কারণে দীর্ঘ দিন ধরেই মাঠের বাইরে রয়েছেন। চোট নিয়েই তিনি বিশ্বকাপে খেলেছিলেন বলেও জানা গিয়েছে।
https://slotbet.online/