ফুলবাড়িয়া : সতেরতম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় সুপারিশপ্রাপ্ত আছমা খাতুন (২৮)। নিবন্ধনের প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট রবিবার (১৪ জুলাই) ঢাকায় জমা দেওয়ার কথা ছিল তার। মুক্তাগাছার একটি হাই স্কুলে যোগদান করার কথা ছিল আছমার। বড় ভাইয়ের আমন্ত্রনে শুক্রবার বাপের বাড়িতে দাওয়াত খাওয়ার কথা ছিল স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানের।
নিহতের বড় ভাই ধুরধুরিয়া আলিম মাদ্রাসার ভাইস প্রিন্সিপাল হারুন অর রশিদ জানান, আমাদের বাড়ি ফুলবাড়িয়া উপজেলার রাধাকানাই ইউনিয়নের খালইপুড়া কাজীবাড়ি। তার ছোট বোন আছমা খাতুন (২৮) সতেরতম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় সুপারিশপ্রাপ্ত। নিবন্ধনের প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট রবিবার (১৪ জুলাই) ঢাকায় জমা দেওয়ার কথা ছিল তার। তাদের বাড়িতে (নিহতের বড় ভাইয়ের বাড়ি) আরও কিছু আত্মীয় স্বজন আসার কথা। এ জন্যই তাদেরকে দাওয়াত দেওয়া হয়েছিল।
ফুলবাড়িয়া-রাধাকানাই সড়কের আন্ধারিয়াপাড়া মজিবুর সুপারের বাড়ির সামনে যেতেই (স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. আব্দুল মালেক সরকারের বাড়ির পশ্চিমে) ঘটে দূর্ঘটনা। বিপরীত দিক থেকে একটি ট্রাক আসায় সাইড দিতে গিয়ে বাইকের চাকা সামনের গর্তে পড়ে স্লিপ করে। এ সময় পেছনে থাকা স্ত্রী আছমা ছিটকে পড়ে যায় রাস্তায়। কোলে থাকা সাড়ে ৩ বছরের শিশু লায়লা অলৌকিকভাবে বেঁচে যায়। রক্তক্ষরনে ঘটনস্থলেই স্ত্রীর মৃত্যু হয়।
স্ত্রী আছমা খাতুন সতেরতম শিক্ষক নিবন্ধনে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়ে মুক্তাগাছার সৈয়দপাড়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে যোগদান করার কথা ছিল। আলিফ নামের ৮ বছর বয়সের আরেক পুত্র সন্তান রয়েছে তার। এমন মৃত্যুতে পরিবার ও আশপাশের এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শুক্রবার রাত ১০ টায় নিজ বাড়িতে নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
https://slotbet.online/