• মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৩৮ অপরাহ্ন

ধর্ষণ মামলায় কনটেন্ট ক্রিয়েটর ইসমাইল কারাগারে

ফুলবাড়িয়া নিউজ / ৫৫ পঠিত
আপডেট : বুধবার, ১০ জুলাই, ২০২৪

হালুয়াঘাট :
ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে কনটেন্ট ক্রিয়েটর ইসমাইল হোসেনকে ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। ভুক্তভোগী কিশোরীকে (১৬) ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

অভিযুক্ত কনটেন্ট ক্রিয়েটর ইসমাইল ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার পশ্চিম কালিয়ানীকান্দা গ্রামের বাসিন্দা।

গতকাল মঙ্গলবার সকালে ভুক্তভোগীর মায়ের অভিযোগে পুলিশ ইসমাইলকে আটক করে। পরে ইসমাইল ভুক্তভোগীকে নিজের দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করলে পুলিশ বিয়ের কাগজপত্র ও উপযুক্ত প্রমাণ দেখাতে বলেন। কিন্তু ইসমাইল উপযুক্ত প্রমাণ দেখাতে না পারায় আজ তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয় বলে জানান হালুয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুল হক।

অভিযোগসূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী কিশোরীর বাড়িতে যাতায়াত ছিল ইসমাইলের। গত ৫-৬ মাস আগে ইসমাইল ওই কিশোরীর বাড়িতে এসে তাকে প্রেম ও বিয়ের প্রস্তাব দেন। একপর্যায়ে বিয়ের প্রলোভনে ওই কিশোরীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। কিশোরীর মাকে রাজি করিয়ে তার মেয়েকে বাড়িতে কাজের লোক হিসেবে নিয়ে যান ইসমাইল। সেখানেও তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন ইসমাইল। সর্বশেষ গত ৬ জুলাই রাতে ইসমাইল আবারও ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন।

অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, ভুক্তভোগী কিশোরী ইসমাইলকে বিয়ের কথা বলেন। বিয়েতে রাজি না হওয়ায় সে তার মাকে সব খুলে বলে। বিষয়টি নিয়ে ওই কিশোরীর মা আত্মীয়দের সঙ্গে কথা বলে এবং মীমাংসার চেষ্টা করেন। কিন্তু সেখানে ইসমাইলের পক্ষ থেকে বিয়ের কোনো আশ্বাস না পাওয়ায় গতকাল মঙ্গলবার সকালে হালুয়াঘাট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।

ইসমাইলের ছোট ভাই কনটেন্ট ক্রিয়েটর এনামুল ইসলাম বলেন, ‘ইসমাইলের সঙ্গে প্রায় ৬ মাস আগে ওই নারীর বিয়ে হয়েছিল। পরে তাদের মধ্যে সাংসারিক ঝামেলার কারণে ওই নারীকে তালাক দেন ইসমাইল। তালাকের কাগজ পাওয়ার পর ওই নারী তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা করেছেন।’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও খবর
https://slotbet.online/