কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে চলমান আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারীদের অন্যতম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্র সার্জিস আলমকে হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার প্রতিবাদে ওই হলের সামনে অবস্থান নেন ঢাবির সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাবির অমর একুশে হলের আবাসিক ছাত্র সারজিস আলমকে হল ছাড়তে বাধ্য করে ছাত্রলীগ। পরে মধ্যরাতে হলের বাইরে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করছেন কোটাবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা।
অমর একুশে হলের সামনে অবস্থা নেওয়া এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমাদের এক ভাইকে হল ত্যাগে বাধ্য করেছে ছাত্রলীগ। এর প্রতিবাদে আমরা একুশে হলের সামনে অবস্থান নিয়েছি। আমাদের আন্দোলনের কাউকে হল থেকে বের হতে বাধ্য করা হলে, সাধারণ শিক্ষার্থীরা এর জবাব দেবে।’
তবে হল ছাড়ার নির্দেশ ছাত্রলীগের কোনো দায়িত্বশীল কারও পক্ষ থেকে ছিল না জানিয়ে সারজিস আলম বলেন, ‘হলের একাধিক স্টুডেন্ট, একাধিক ক্যান্ডিডেট (ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশী) বলেছে, ছাত্রলীগের হাইকমান্ড থেকে নির্দেশ এসেছে আমি যেন আজকের মতো হল ছেড়ে যাই। কারণ আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যে কোটা সংস্কার আন্দোলন-২০২৪ হচ্ছে এর সমন্বয়ক প্যানেলের একজন। এরপর যারা বলেছি তাদের আমি ডেকে নিই এবং তাদের আমি জিজ্ঞাসা করি যে আসলেই এমন কিছু বলেছে কি না। তারা বলেছে যে, ‘‘হ্যাঁ বলেছে’’।’
তিনি বলেন, ‘এ জন্য হলে এসে আমি ব্যাগ গুছিয়ে চলে যাচ্ছিলাম। কারণ আমি চাই না এখানে আরেকটা ইস্যু তৈরি হোক। কিন্তু আমি যখন বের হতে যাই, একুশে হলের যত স্টুডেন্ট, ৫০০-৭০০ স্টুডেন্ট হলের গেটে দাঁড়ানো। তারা আমাকে যেতে দেবে না। কারণটা কি? কারণ আমি তাদের যৌক্তিক দাবি রিপ্রেজেন্ট করি।’
সারজিস বলেন, ‘পরে আমার সঙ্গে ছাত্রলীগের হাইকমান্ডের কথা হয়। তারা জানায়, আমাকে যারা বলেছে তাদের সঙ্গে হাইকমান্ডের কথাই হয়নি। এটা ছাত্রলীগের হাইকমান্ডের নির্দেশনা ছিল না। এটা করেছে আমাকে বের করতে পারলে সেটা দেখিয়ে পদ পাওয়ার জন্য। তারা এটা স্বীকার করেছে, মাফও চেয়েছে।’
https://slotbet.online/