উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল এবং অব্যাহত বৃষ্টিপাতের ফলে গাইবান্ধার সবগুলো নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে করে বন্যার কবলে পড়েছে জেলার সদর, ফুলছড়ি, সাঘাটা ও সুন্দরগঞ্জসহ চার উপজেলা। প্লাবিত হচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম। ঘরের ভিতরে পানি ঢুকে পড়ায় মানুষজন আশ্রয়ের খোঁজে ছুটছেন উঁচু স্থানের দিকে। ঘরের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস নিয়ে উঁচু জায়গা পাওয়ার চেষ্টা সবার মধ্যে।
আজ শুক্রবার দুপুরে সাঘাটায় বন্যার কবলে পড়া মানুষকে উচু বাঁধ ও সড়কে আশ্রয় নেওয়ার জন্য ছুটতে দেখা যায়।
বাড়ি-ঘর ডুবে যাওয়া হলদিয়া ইউনিয়নের বেড়া গ্রামের আব্দুল মান্নান বলেন, ‘পরিবার নিয়ে খুব বিপাকে পড়েছি। ঘরের মধ্যে প্রায় কোমর পানি। বেড়া বালিকা বিদ্যালয়ের দুইদিন ধরে আশ্রয় নিয়েছি।’
একই কথা জানান হলদিয়ার আব্দুল মান্নান। তিনিও একটি স্কুলে পরিবার নিয়ে উঠেছেন। উঁচু সড়কের খোঁজে নৌকা নিয়ে বের হয়েছেন পরিবারগুলো।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হলদিয়া ইউনিয়নের গোবিন্দপুর, বেড়া, গাড়ামারা, দীঘলকান্দি, পাতিলবাড়ি, গুয়াবাড়ি, কালুরপাড়া, কানাইপাড়া, কুমারপাড়া, জুমারবাড়ি ইউনিয়নের কাঠুর, থৈকরেরপাড়া, পূর্ব আমদিরপাড়া, ঘুড়িদহ ইউনিয়নের চিনিরপটল, খামার পবনতাইড়, সাঘাটা ইউনিয়নের হাটবাড়ি, গোবিন্দী, বাঁশহাটা, দক্ষিণ সাথালিয়া, হাসিলকান্দি, ভরতখালি ইউনিয়নের বরমতাইড়, বাশঁহাটা ও মন্সিরহাটসহ অন্তত ১৫টির বেশি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের সব গ্রাম এখন পানির নিচে। হলদিয়া এলাকার প্রায় অর্ধেকাংশেরও বেশি গ্রামের মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে উঁচু জায়গার খোঁজে ছুটছেন। ঘরের খাবার-কাপড়-চোপড় নিয়ে ছুটছেন উঁচুস্থানের দিকে। অনেকের ঘরে থাকা খাবার শেষের দিকে। খাবারের সংকটও দেখা দিয়েছে বন্যা কবলিত এলাকায়।
https://slotbet.online/