ফুলবাড়িয়া : ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় বিচারাধীন জমি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে একটি পরিবারের বাড়ির প্রবেশ পথে বড়ই কাঁটা ও বাঁশের বেড়া দিয়ে যাতায়াতের পথ বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। অবরুদ্ধ ঐ পরিবারের পুরুষরা একটি সরু পথ দিয়ে আধা কিলোমিটার ঘুরে বের হতে পারলেও বিপাকে পড়েছেন শিশু, বৃদ্ধ মহিলারা।
উপজেলার কালাদহ ইউনিয়নের কালাদহ গ্রামে (দাপুনিয়ার চালা) গত বিশ দিন ধরে অবরুদ্ধ অবস্থায় দিন কাটছে ঐ পরিবারের। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের দ্বারস্থ হয়েও কোনো সমাধান মেলেনি বলে তাদের অভিযোগ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার ১০নং কালাদহ ইউনিয়নের কালাদহ বড়ভিটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পূর্বদিকে দাপুনিয়ার চালায় যাওয়ার রাস্তা। ইটের সলিং এর পর কাঁচা রাস্তা দিয়ে এগুতেই একটি বাড়ীকে কেন্দ্র করে সড়কের উপর বড়ই কাটা ও বাঁশ দিয়ে চলাচলের পথ আকটিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে চলাফেরায় বিপাকে পড়েছেন ঐ পরিবার। একটি সরু পথ দিয়ে আধা কিলোমিটার ঘুরে কোনোমতে বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন তারা। কাটার বেড়া অপসারণ করে চলাচলের পথ স্বাভাবিক করে দিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন অবরুদ্ধ পরিবারের সদস্যরা।
অবরুদ্ধ পরিবারের সদস্য মো. আব্দুল মতিন বলেন, এটা আমাদের পৈতৃক ও ক্রয়কৃত সম্পত্তি। পুরাতন ভিটেতে জায়গা সংকুলান হয় না তাই এখানে দশ বছর যাবত বাড়ী করে বসবাস করে আসছি কোন সমস্যা হয়নি। হঠাৎ করে জমি নিয়ে দ্বন্দ্বে গত ১০ জুন ঈদের আগে প্রতিবেশী আলম, ফারুক, হারুন, শফিকুল, আ: কদ্দুছ ও সালাম গংরা আমার বাড়ির প্রবেশ পথে বড়ই কাটার বেড়া দিয়েছে। এতে আমাদের বাড়িতে আসা-যাওয়ার একমাত্র পথ বন্ধ হয়ে গেছে।
এ অবস্থায় চলাফেরায় ভীষণ অসুবিধা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, “বাড়ি থেকে বের হতে পারছি না। আমার একটা ১২-১৩ মাসের মেয়ে হামাগুড়ি (ছোট মানুষ) দিয়ে ঐদিন বেড়ার মধ্যে বাইজা (বেঁধে) শরীরটা ছিঁড়ে গেছে বলে কেঁদে ফেলেন। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের কাছে গিয়েও কোনো সমাধান পাইনি।
এ বিষয়ে জানতে প্রতিবেশী ময়েজ উদ্দিন বলেন, এটা তাদের জায়গা নয়, এ বিষয়ে ২০১৪ সাল থেকে মহামান্য আদালতে মামলা চলমান আছে। সালিশ দরবারের সিদ্ধান্তে গত ১০ জুন আমাদের জায়গায় বেড়া দিয়েছি। আমরা বেড়া ভাংবোনা প্রয়োজনে আরও কিছু করবো।
এ বিষয়ে কালাদহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: নজরুল ইসলাম বলেন, “চলাচলের পথ বন্ধের বিষয়টি আপনার কাছে শুনলাম, এটা ঠিক করেনি। আমি খোঁজ নিয়ে দেখব।
https://slotbet.online/