গুলশান থানার উপপরিদর্শক(এসআই) হাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগে মামলা করছেন এক ব্যবসায়ী। আজ বৃহস্পতিবার মোর্শেদ মঞ্জুর নামে ওই ব্যবসায়ী ঢাকার মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামস জগলুল হোসেনের আদালতে এ মামলা করেন।
আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। মামলায় আরও ২/৩ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, বাদী ঢাকা ও চট্টগ্রামে তার বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক। পূর্ব পরিচিত বিদিশা সিদ্দিকার কাছ থেকে তিনি একটি জাগুয়ার প্রাইভেট কার ৩৯ লাখ টাকায় ক্রয় করেন। গাড়ির টাকাসহ নাম পরিবর্তন বাবদ আরও এক লাখ ৯৫ হাজার পরিশোধ করেন। কিন্তু বিদিশা সিদ্দিকা মিথ্যা তথ্য দিয়ে গুলশান থানায় তার বিরুদ্ধে প্রতারণা ও বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগে একটি মামলা করেন।
সেই মামলায় গত ২০ এপ্রিল সন্ধ্যা ৭টায় পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) তাকে ময়মনসিংহ থেকে গ্রেপ্তার করে গুলশান থানায় নিয়ে আসে। সেখানে গাড়ি উদ্ধারের নামে তদন্ত কর্মকর্তা এসআই হাফিজুর রহমান গামছা দিয়ে চোখ বেঁধে মানসিকভাবে নির্যাতনসহ শারীরিকভাবে কিল, ঘুষি এবং লাঠি দিয়ে মারধর করেন। এ সময় তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং ক্রসফায়ারে হত্যা করার হুমকি দেন।
অভিযোগে তিনি আরও বলেন, একপর্যায়ে গামছা দিয়ে চোখ বেঁধে শারীরিকভাবে নির্যাতনের সময় ছবি ধারণ করে বিভিন্নজনের কাছে পাঠান। মারধরের কথা আর কাউকে না বলতে হুমকি দেন। একপর্যায়ে তাকে কালো রংয়ের একটি ইলেকট্রিক মেশিনের মাধ্যমে শক দিলে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের কারণে দৈনন্দিন তিনি স্বাভাবিক কাজ করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছেন।
https://slotbet.online/