অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের উদ্যোগে গতকাল শনিবারউদযাপিত হলো রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তী। এতে প্রবাসী বাংলাদেশি সংগীত ও নৃত্যশিল্পী, বাংলাদেশ হাইকমিশনের সদস্য ও তাদের সন্তানসহ শিশু-কিশোররা অংশগ্রহণ করেন।
সংগীত সংগঠন জলসা ক্যানবেরার সহযোগিতায় এবং অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরা কলেজের অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে একক ও দলীয়ভাবে রবীন্দ্র ও নজরুল সংগীত, কবিতা আবৃত্তি ও নৃত্য পরিবেশন করা হয়।
এ সময় বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম আল্লামা সিদ্দীকী, অস্ট্রেলিয়ায় ভারতের হাইকমিশনার গোপাল বাগলে এবং অস্ট্রেলিয়ান ক্যাপিটাল টেরিটরি সরকারের ছায়া মাল্টিকালচারাল মন্ত্রী পিটার কেইন।
হাইকমিশনার এম আল্লামা সিদ্দীকী বাংলা সাহিত্যের সব ক্ষেত্রে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কাজী নজরুল ইসলামের বহুমুখী প্রতিভা ও তাদের অসাধারণ অবদানের ওপর আলোকপাত করেন।
আল্লামা সিদ্দীকী বলেন, বাংলার সংস্কৃতি, ভাষা ও মানুষের প্রতি এ দুই মহান ব্যক্তির ছিল অগাধ ভালোবাসা। এছাড়া অন্যান্য ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতিও তারা তাদের ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটান। এ দুজনের পাশাপাশি বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে অন্যান্য যারা অবদান রেখেছেন তাদের বিষয়েও বাংলাদেশের হাইকমিশনার গুরত্বারোপ করেন।
ভারতের হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের ভৌগোলিক অবস্থান, ভাষা, ইতিহাস ও সংস্কৃতি দুদেশকে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে আবদ্ধ করে রেখেছে। প্রবাসে বাংলা সংস্কৃতি চর্চারও প্রশংসা করেন তিনি। তিনি কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কাজী নজরুল ইসলামের অসামান্য অবদানের প্রতিও শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
এ অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে প্রবাসী বাংলাদেশি, বাংলাদেশ হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন।
https://slotbet.online/