রমজানে মসজিদে ইফতার ও সেহরি নিষিদ্ধ


প্রকাশের সময় : এপ্রিল ৫, ২০২১, ৭:২৩ PM
রমজানে মসজিদে ইফতার ও সেহরি নিষিদ্ধ

আসন্ন পবিত্র রমজান মাসে গত বছরের মতো এবারও মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণের মধ্যেই মুসল্লিদের ইবাদাত-বন্দেগি করতে হবে।  এবার মসজিদে ইফতার ও সেহরি করায় নিষেধাজ্ঞাসহ কিছু বিধি-নিষেধ জারি করেছে সরকার।

দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে আবশ্যিকভাবে কিছু শর্ত পালনের জন্য অনুরোধ করেছে। সেগুলো হলো :

১. মসজিদের প্রবেশদ্বারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার/হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ সাবান-পানি রাখতে হবে এবং আগত মুসল্লিকে অবশ্যই মাস্ক পরে মসজিদে আসতে হবে;

২. প্রত্যেককে নিজ নিজ বাসা থেকে ওজু করে, সুন্নত নামাজ ঘরে আদায় করে মসজিদে আসতে হবে এবং ওজু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে;

৩. মসজিদে কারপেট বিছানো যাবে না। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পূর্বে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবাণুনাশক দ্বারা পরিষ্কার করতে হবে, মুসল্লিগণ প্রত্যেকে নিজ নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে আসতে হবে;

৪. কাতারে নামাজে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে হবে;

৫. শিশু, বয়োবৃদ্ধ, যেকোনো অসুস্থ ব্যক্তি এবং অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি জামায়াতে অংশগ্রহণ করা হতে বিরত থাকবে;

৬. সংক্রমণ রোধে নিশ্চিতকল্পে মসজিদের ওযুখানায় সাবান/হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে। মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না;

৭. সর্বসাধারণের সুরক্ষা নিশ্চিতকল্পে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনীর নির্দেশনা অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে;

৮. মসজিদে ইফতার ও সেহরির আয়োজন করা যাবে না;

৯. করোনাভাইরাস মহামারি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য নামাজ শেষে মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে খতিব ও ইমামগণ দোয়া করবেন;

১০. সম্মানিত খতিব, ইমাম এবং মসজিদ পরিচালনা কমিটি বিষয়গুলো বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবেন।

উল্লিখিত নির্দেশনা লংঘন হলে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।  করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সংশ্লিষ্ট মসজিদের পরিচালনা কমিটিকে উল্লিখিত নির্দেশনা বাস্তবায়ন করার জন্য বিজ্ঞপ্তিতে অনুরোধ জানানো হয়। সূত্র: আমাদের সময়

https://www.bkash.com/