মানসিকভাবে বিপর্যস্ত সেই কিশোরীকে পরিবারে হস্তান্তর


প্রকাশের সময় : জানুয়ারী ২২, ২০২৩, ৬:৫৫ PM
মানসিকভাবে বিপর্যস্ত সেই কিশোরীকে পরিবারে হস্তান্তর

ফুলবাড়িয়া : খুলনার রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো সেই কিশোরীকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। দেশের অন্যতম আলোচিত ফেইসবুক ভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন We Are Bangladesh (WAB)-টিম মেয়েটিকে মা-বাবার কাছে হস্তান্তর করে মহান আল্লাহ তা আলার কাছে শুকরিয়া প্রকাশ করে।

খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালের চিকিৎসক অমিত সাহা জানান, মেয়েটি মানসিক ট্রমার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। তবে সে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) ফেসবুকে ভাইরাল হয় ১৬-১৮ বছর বয়সী এক কিশোরী খুলনায় ঘোরাঘুরি করছিলেন। রাতে We Are Bangladesh (WAB)-টিমের কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবী মেয়েটিকে রূপসা ট্রাফিক মোড় এলাকা থেকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে ভর্তি করে। ফেসবুকের মাধ্যমে এ খবর তার পরিবারের সদস্যরা জানতে পেরে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ওয়াব টিমের সাথে যোগাযোগ করে। শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) তার পরিবারের সদস্যরা খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাকে গ্রহণ করেন।

 

We Are Bangladesh (WAB)-টিমের এডমিন ও খুলনা সোনাডাঙ্গা মডেল থানার উপপরিদর্শক এস.এম. আকবর জানান, উই আর বাংলাদেশ (ওয়াব)ফেসবুক গ্রুপে কেউ একজন কমেন্ট করে মেয়েটির খোঁজ দেয়।  মেয়েটিকে খুলনা শিববাড়ী এবং সোনাডাঙ্গার মাঝামাঝি সামি হাসপাতালের সামনে পাওয়া যায়। সেখান থেকে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ফেসবুকের মাধ্যমেই ওই কিশোরীর বাবা-মা ও বান্ধবীর সঙ্গে যোগাযোগ করে সংগঠনটি।

মেয়ের মা-বাবা জানান, তাদের বাড়ি গাজীপুরের শ্রীনগরে। আকস্মিকভাবে মেয়েকে হারিয়ে তারা কী করবে বুঝতে পারছিলেন না। কেন সে ঘর ছাড়ল বা এই অবস্থা হয়েছে কিছুই জানেন না তারা। তবে মেয়ের সন্ধানে যারা কাজ করেছে তাদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তারা।

 

 

ওয়াব টিমের এডমিন তার নিজ পেইজে বলেন, আলহামদুলিল্লাহ, গতকাল (শনিবার ২১ জানুয়ারি) দুপুর থেকে রাত শেষ হওয়া পর্যন্ত ঘুমাইনি। সেই সাথে বেশ কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবক ঘুমায়নি। বোনটিকে খুঁজে পেয়ে পোস্ট দেই আমাদের প্রাণের গ্রুপ We Are Bangladesh (WAB)-এ, মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর-ই ফোন দেয় ওর মা। তথ্য যাচাই-বাছাই করে দেখি তিনিই মেয়েটির মা। আলহামদুলিল্লাহ গাজীপুর থেকে মেয়েটির বাবা-মা এসেছে মেয়েকে নিতে। মেয়েটিকে মা-বাবার কাছে হস্তান্তর করতে সক্ষম হয়েছি আমরা। এটাই ভালো কাজের তৃপ্তি। আলো আসবেই, না আসলে সবাই মিলে টেনে আনবো ইন শা আল্লাহ।  সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা।

https://www.bkash.com/