পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় অন্তত ১০ জনের মৃত্যু


প্রকাশের সময় : মে ৪, ২০২১, ৭:৩৯ PM
পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় অন্তত ১০ জনের মৃত্যু

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে দলগুলোর মধ্যে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ শুরু হয়েছে। বিজেপি সহিংসতার জন্য তৃণমূল কংগ্রেসকে দায়ী করে বলেছে, তৃণমূল বড় জয় পাওয়ার পরেও এ ধরনের সহিংসতা অগ্রহণযোগ্য। তবে রাজ্যবাসীকে শান্তি বজায় রাখার আহবান জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী।

আজ মঙ্গলবার বৃটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি থেকে এ খবর জানা গেছে। এই পরিস্থিতিতে সহিংসতার বিষয়ে দিল্লি থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিবেদন চাওয়া হয়েছে রাজ্য প্রশাসনের কাছ থেকে।

গত রোববার ভোট গণনায় তৃণমূল কংগ্রেস ২১৩টি আসনে জয় পেয়ে তৃতীয়বারের মতো পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতায় বসছে। নির্বাচন চলাকালে কয়েকটি জায়গায় সহিংসতা ও হতাহতের ঘটনা ঘটেছিল। তারই জের ধরে গত রোববার ভোট গণনা শেষ হওয়ার পরপরই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গার পরিস্থিতি সহিংস হয়ে ওঠে।

সরকারি সূত্রগুলো বরাতে বিবিসি জানিয়েছে, গত রোববার বিকেল থেকে গত সোমবার রাত পর্যন্ত এসব সহিংসতায় অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছে। বেশ কিছু জায়গা থেকে বোমাবাজি, ভাঙচুর ও লুটতরাজেরও খবর পাওয়া গেছে।

এর মধ্যে পাঁচ জনকে বিজেপি তাদের কর্মী বা সমর্থক দাবি করেছে। আর তৃণমূল বলছে, তাদের চার জন্য এবং ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফোর্স বা আইএসএফ বলছে, তাদেরও একজন নিহত হয়েছে প্রতিপক্ষের হামলায়।

পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, ‘এতো বিপুল সমর্থন নিয়ে তৃণমূল জিতেছে তারপরেও কেন হিংসা। পুলিশের সামনে আগুন, লুটতরাজ হচ্ছে কিন্তু পুলিশ কিছু বলছে না। এটা মেনে নেওয়া যায় না।’

জানা গেছে, সহিংসতায় শীতলকুচি, দীনহাটায়, কলকাতায় ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায় একজন করে নিহত হয়েছে যাদের বিজেপি তাদের কর্মী দাবি করে এ হত্যাকাণ্ডের জন্য তৃণমূলকে দায়ী করেছে।   অন্যদিকে পূর্ব বর্ধমানে তিন জন নিহত হয়েছে যাদের নিজেদের কর্মী দাবি করে তাদের হত্যার জন্য বিজেপিকে দায়ী করেছে তৃণমূল। এছাড়া আব্বাস সিদ্দিকীর ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফোর্স বা আইএসএফ উত্তর চব্বিশ পরগনায় তাদের একজন কর্মীকে হত্যার জন্য তৃণমূলকে অভিযুক্ত করেছে। এদিকে নির্বাচনে জয়ী তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জী আগামীকাল বুধবার সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে আবারও তৃতীয় মেয়াদে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন। সূত্র: আমাদের সময়

https://www.bkash.com/