চট্টগ্রামে এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী গুলি করে হত্যা


প্রকাশের সময় : জুন ৫, ২০১৬, ১২:১৮ PM
চট্টগ্রামে এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী গুলি করে হত্যা

13325728_1706570182943780_6813378087230504048_nফুলবাড়িয়া নিউজ 24ডটকম : আবারও একটি হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটলো। সাধারণ কোন ঘটনা নয়। খোদ পুলিশের কর্মকর্তার স্ত্রী। দিনের সূর্যেও আলো ফোটার পর স্কুলের বাসে পুত্র সন্তানকে তুলে দিতে গিয়েও নিরাপদে ঘরে ফিরতে পারলেন না তিনি। প্রাণ দিতে হলো দুর্বৃত্তদের হাতে। স্কুলের বাসে বাচ্চাকে তুলে দিতে গিয়ে খুন হন পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী। এই ঘটনায় এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি। তবে কেউ গ্রেফতার না হলেও এবং কাউকে এখনও পর্যন্ত চিহ্নিত করা না গেলেও পুলিশ ধারণা করছে জঙ্গিরাই এই কাজটি করে থাকতে পারে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর সন্দেহও সেই দিক।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল এখন চট্টগ্রামে রয়েছেন। তিনি বলেছেন, জঙ্গিরাই পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতুকে হত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বাবুল আক্তার একজন দক্ষ, সৎ অফিসার এবং জঙ্গি দমনে প্রচুর কাজ করেছেন। তাই তাকে না পেয়ে তার স্ত্রীকে এভাবে হত্যা করা হয়েছে।

13331143_1706570149610450_2378919590791035992_nমন্ত্রী বলেন, পুলিশ কর্মকর্তাদের মানসিকভাবে দুর্বল করতে এ হত্যাকান্ড হয়ে থাকতে পারে। তবে অন্যান্য দিকগুলোও খতিয়ে দেখা হবে।

জঙ্গিদের কারণে একের পর এক ঘটনা ঘটছে মনে করছে সরকার। তবে সব ঘটনায় খুনীদের চিহ্নিত করে শাস্তি নিশ্চিত করতে পারছে না। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন যথাযথভাবে ব্যবস্থা নিতে না পারলে এই ধরনের ঘটনা আরো বাড়বে।

এই ঘটনার পর জঙ্গি দমনে দায়িত্বরত অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তাদের পরিবারের নিরাপত্তায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, হ্যাঁ, বিষয়টি এখন ভাবার সময় হয়েছে। জঙ্গিরা যখন  কোণঠাসা হয়ে পড়েছে এবং ধৃকিত হচ্ছে তখন তারা এ ধরনের পথ বেছে নিয়েছে। অন্যান্য কর্মকর্তাদের পরিবারের নিরাপত্তায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

sp-babul

দুই মাস আগে পদোন্নতি  পেয়ে পুলিশ সুপার হয়ে বাবুল আক্তার চট্টগ্রামে ছিলেন। সেখানে তিনি  গোয়েন্দা পুলিশে দায়িত্ব পালন করেন। সে সময় তার নেতৃত্বে জেএমবির আস্তানাা থেকে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরকসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়, যাদের মধ্যে নেতা পর্যায়ের একজন পুলিশের সঙ্গে এক অভিযানে থাকা অবস্থায় গ্রেনেড বিস্ফোরণে নিহত হন। জঙ্গি দমনে ভূমিকার জন্য প্রশংসিত বাবুলকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। তিনি ঢাকায় যোগ দিলেও এখনও তার পরিবারের সদস্যদের ঢাকায় আনতে পারেননি। তার পরিবারের সদস্যরা ছিল চট্টগ্রাম শহরে। এই অবস্থায়  রোববার সকালে নগরীর জিইসি মোড়ের কাছে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে  দেওয়ার সময় তার স্ত্রী মাহমুদার মাথায় গুলি করে  মোটরসাইকেল আরোহী হামলাকারীরা। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

জঙ্গিদের কারণে ও অন্যান্য নানা কারণেই মাহমুদা আক্তার পরিবারের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগে ভুগছিলেন বলে তার প্রতিবেশিদের জানিয়েছিলেন। স্বামী বদলী চাকরির কারণে তারা সেখানে থাকলেও বাবুৃল একটু গুছিয়ে নেওয়ার পরই তাদের শিগগিরই ঢাকায় আনার কথা ছিলো। তা আর হলো না।

https://www.bkash.com/