গণটিকাদান কর্মসূচি চলবে ৬ দিন


প্রকাশের সময় : অগাস্ট ৭, ২০২১, ৭:২৩ PM
গণটিকাদান কর্মসূচি চলবে ৬ দিন

সারা দেশে করোনার গণটিকাদান কর্মসূচি আজ শনিবার সকাল ৯টায় শুরু হয়েছে। ইউনিয়ন, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ডগুলোতে প্রথমবারের মতো এই টিকা দেওয়া হবে। আগামী বৃহস্পতিবার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবিরে টিকা দেওয়ার মধ্য দিয়ে ছয় দিনের বিশেষ এই কর্মসূচি শেষ হবে। পাশাপাশি করোনা টিকার অন্য কেন্দ্রগুলোতে আগের মতোই টিকাদান চলতে থাকবে।

গতকাল শুক্রবার রাজধানীর মহাখালীর বিসিপিএস মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা এই কর্মসূচির বিস্তারিত তুলে ধরেন।

কর্মকর্তারা বলেন, দেশের ৪ হাজার ৬০০ ইউনিয়ন, পৌরসভাগুলোর ১ হাজার ৫৪টি ওয়ার্ড এবং ১২টি সিটি করপোরেশনের ৪৩৩টি ওয়ার্ডে এই টিকা দেওয়া হবে। এ ছাড়া আলাদা ব্যবস্থাপনায় রোহিঙ্গা শিবিরে এই টিকা দেওয়া হবে। ৬ দিনে ৩২ লাখের মতো মানুষকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।

সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, এই বিশেষ কর্মসূচিতে ২৫ বছর বা এর বেশি বয়সীদের টিকা দেওয়া হবে। তবে পঞ্চাশোর্ধ্ব বেশি বয়সী মানুষ, নারী ও শারীরিক প্রতিবন্ধীরা অগ্রাধিকারভিত্তিতে টিকা পাবেন। দুর্গম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষকে এই সময় টিকা দেওয়া হবে। দুর্গম এলাকার উদাহরণ হিসেবে ভোলা জেলার মনপুরার কথা বলা হয়।

কোভিড-১৯ টিকা ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যসচিব ডা. শামসুল হক বলেন, টিকাদান শুরু হবে সকাল ৯টায়, চলবে বেলা ৩টা পর্যন্ত। জাতীয় পরিচয়পত্র সঙ্গে এনে এই টিকা নেওয়া যাবে।

কোন তারিখে কোথায় টিকা

নিয়মিত সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) সঙ্গে সমন্বয় করে গ্রামপর্যায়ে করোনার টিকা দেওয়া হবে। এর বিস্তারিত বর্ণনা করার সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, আজ সারা দেশের সব ইউনিয়ন, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন এলাকায় টিকাদান কর্মসূচি শুরু হবে। আজ নিয়মিত ইপিআইয়ের কারণে ইউনিয়নের যেসব কেন্দ্রে করোনার টিকা দেওয়া সম্ভব হবে না, সেসব কেন্দ্রে টিকা দেওয়া হবে ৮ ও ৯ আগস্ট। একইভাবে পৌরসভার যেসব ওয়ার্ডে আজ টিকা দেওয়া সম্ভব হবে না, সেখানে ৮ ও ৯ আগস্ট টিকা দেওয়া হবে। এই দুদিন দুর্গম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে টিকাদান অব্যাহত থাকবে।

১২টি সিটি করপোরেশনের কেন্দ্রগুলোতে টিকা দেওয়া হবে আজ, আগামীকাল ও আগামী পরশু। কোনো কেন্দ্রে বাড়তি টিকা থাকলে তা পরের দিনও দেওয়া হবে।

কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে টিকা দেওয়া হবে ১০, ১১ ও ১২ আগস্ট। ৫৫ বছর বা তার বেশি বয়সী রোহিঙ্গারাই এই টিকা পাবেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলেছেন, ৫০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গাকে এবার টিকা দেওয়া হবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আরও বলেন, বর্তমানে দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণ আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে সরকার সম্প্রসারিত আকারে করোনা টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

দেশে গণটিকাদান শুরু হয় ৭ ফেব্রুয়ারি। দেশে এখন অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা, ফাইজার, মডার্না ও সিনোফার্মের টিকা দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে সরকারি উপজেলা হাসপাতাল, জেলা বা সদর হাসপাতাল, সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়সহ বেশ কিছু বিশেষায়িত হাসপাতালে করোনার টিকা দেওয়া চলছে। এর সঙ্গে আজ থেকে যুক্ত হচ্ছে সম্প্রসারিত টিকাদান কার্যক্রম।

দেশে এ পর্যন্ত করোনার টিকা এসেছে ২ কোটি ৫৬ লাখ ৪৪ হাজার। এর মধ্যে কিছু টিকা উপহার হিসেবে, কিছু টিকা পেয়েছে করোনা টিকা সংগ্রহ ও বিতরণের বৈশ্বিক উদ্যোগ কোভ্যাক্স থেকে। বাকি টিকা সরকার কিনেছে।সূত্র: আমাদের সময়

https://www.bkash.com/