বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০২:২০ পূর্বাহ্ন
ফূলবাড়িয়া নিউজ ২৪ডটকম : মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদ- কার্যকর হওয়া সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরী ও আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার গহিরা গ্রামে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে সাকা চৌধুরীর লাশ দাফন সম্পন্ন হয়। অপরদিকে সকাল সোয়া ৭টার দিকে ফরিদপুরের মাওলানা আবদুল আলী ট্রাস্ট প্রাঙ্গণে দাফন করা হয় আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের লাশ।
পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত সাকা চৌধুরীর জানাজায় ইমামতি করেন ফটিকছড়ি বাবুনগর মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা মুফতি মহিবুল্লাহ বাবুনগরী। এতে অংশ নেন সাকা চৌধুরীর নিকটাত্মীয়সহ স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা। ভোর ৬টা ৩৫ মিনিটে মুজাহিদের লাশ মাওলানা আবদুল আলী ট্রাস্ট প্রাঙ্গণে নেওয়া হয়। কিছুক্ষণ পর সেখানেই জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় পরিবারের সদস্য, জেলা জামায়াতের নেতাকর্মী ও প্রশাসনের লোকজন উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের মধ্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আবদুর রশিদ ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ কামরুজ্জামান ছিলেন।
এর আগে সকাল ৯টার দিকে সাকা চৌধুরীর মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্সটি রাউজানের গহিরার চৌধুরীবাড়ির সামনে পৌঁছায়। সকাল ৮টা ৫৫ মিনিটে তাঁর পরিবারের সদস্যরা সেখানে যান। সেখান থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মরদেহবাহী কফিনটি সরাসরি জানাজার স্থান বাড়ির উঠানে নিয়ে যেতে চায়। কিন্তু পরিবারের সদস্যরা পুলিশের অনুমতি নিয়ে মরদেহ ঘরের ভেতরে নিয়ে যান। মুজাহিদের লাশ ব্যাপক নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ঢাকা থেকে ফরিদপুরে মুজাহিদের গ্রামের বাড়ি পশ্চিম খাবাসপুরে পৌঁছায়। সেখানে একটি জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় পরিবারের লোকজন ছাড়া বাইরের কেউ অংশ নিতে পারেননি।
হত্যা ও গণহত্যার চার অপরাধে শনিবার রাত ১২টা ৫৫ মিনিটে আলী আহসান মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকর করা হয়।
গতকাল শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টা ৫৫ মিনিটে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসি কার্যকর হয় সাকা চৌধুরীর এবং আলী আহসান মুজাহিদের। এরপর সিভিল সার্জন মৃত্যু নিশ্চিত করলে তাঁর মরদেহ নিয়ে তাদের নিজস্ব এলাকায় উদ্দেশে রওনা দেয় একটি অ্যাম্বুলেন্স।