সোমবার, ০৮ মার্চ ২০২১, ০৮:৪৪ পূর্বাহ্ন
ফুলবাড়িয়া নিউজ 24 ডট কম : সন্তানদের প্রতি অভিভাবকদের দায়িত্ববোধ বিষয়ে সচেতন হতে হবে। সন্তান নষ্ট হবার পেছনে অভিভাবকরা দায়ী। কারণ সাধারণত সন্তানরা অবুঝ থাকে, তাদের কি প্রয়োজন, কি অপ্রয়োজন সেটা ওরা বুঝে না। আপনি সন্তানকে স্কুলে পাঠাচ্ছেন, তার যখন খাবার প্রয়োজন, তখন তাকে খাবার দেওয়া হচ্ছে না, স্কুলে তার আদৌ মোবাইলের প্রয়োজন আছে কি না ইত্যাদি নানাবিধ কারণে সন্তানরা লাইনচুত্য হয়ে যায়। নিজের সম্পর্কে উদাহরণ দিতে গিয়ে বলেন, প্রথম চাকুরীকালীন আমার মাসিক বেতন ছিল ১৬ হাজারের কিছু উপরে, এখন সেটা পঞ্চাশ হাজারের উপরে। প্রতি মাসে সরকার প্রচুর টাকা দেন। এটি দিয়ে আমি অনায়াসে ভালো চলি। আমার বেতন, এই চাকরিই ভরসা আমার। এখান থেকে আমার ইউএনও পদটা যদি সরিয়ে ফেলা হয় তাহলে আমি নিঃস্ব। বেতনকে শতভাগ হালালভাবে গ্রহণ করে তা ব্যয় করি। বাড়তি কোন ইনকামের চিন্তা আদৌ আমি করি না।
১৮ ফেব্রুয়ারি উপজেলার ৮ নং রাঙ্গামাটিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে ইউনিয়ন পরিষদ আয়োজিত বাল্য বিবাহ, নারী ও শিশু নির্যাতন বিরোধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল ছিদ্দিক এসব কথা বলেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট সাংবাদিক ও আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এপি’র ব্যুরো প্রধান জুলহাস আলম রিপন। রাঙ্গামাটিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সালিনা চৌধুরী’র সভাপতিত্বে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মির্জা মো: কামরুজ্জামান দুলাল, সাধারণ সম্পাদক মির্জা আমিনুল ইসলাম সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিশিষ্ট সাংবাদিক ও আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এপি’র ব্যুরো প্রধান জুলহাস আলম রিপন বলেন, আমি আমার সন্তানকে কখনোই বাল্য বিবাহ দিবোনা, সেটি লক্ষ বা কোটি টাকা পেলেও না। কারণ আমি সচেতনভাবে পথ চলি। বহু জ্ঞানীদের সাথে কথা বলার সময় আমি খুব ভেবে কথা বলি-যেনো সঠিকটা বলি। কারণ উনার জ্ঞান দক্ষতায় আমার চেয়ে উচ্চতায়। নারী আমার মা, নারী আমার বোন, নারী আমার মেয়ে, নারী আমার স্ত্রী, নারী আমার বান্ধবী। সুতরাং নারীর অগ্রযাত্রায় বাঁধা না হয়ে সকলকে সহযোগিতা করতে হবে।
বাবুগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক কাজিম উদ্দিনের নির্দেশনায় উক্ত বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় বাল্য বিবাহ বিরোধী নাটিকাটি ছিল অসাধারণ।
বিভিন্ন স্কুল ও মাদ্রাসার প্রায় ৬০০ ছাত্রী, ইউনিয়নের বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, শিক্ষকবৃন্দ, মসজিদের ইমাম, বিভিন্ন ক্লাবের তরুণ সদস্যগণ, স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিকলীগ নেতৃবৃন্দসহ কৃষক প্রতিনিধি, শ্রমিক প্রতিনিধি ও অভিভাবকগণ উপস্থিত ছিলেন।