সোমবার, ২৯ মে ২০২৩, ১২:৩৪ অপরাহ্ন
মশিউর রহমান কাউসার, গৌরিপুর : ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার অধিকাংশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান, শিক্ষক ও এসএসসি কমিটির স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম-দূর্নীতি সহ নানা কারনে প্রাথমিক শিক্ষার মুখ থুবড়ে পড়েছে। গৌরীপুর উপজেলার মাওহা ইউনিয়নে ১১৩ নং নিজ মাওহা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংস্কারের জন্য বরাদ্ধকৃত অর্থ আতœসাতের অভিযোগ ওঠেছে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও এসএমসি কমিটির বিরুদ্ধে। বিদ্যালয়ে লোক দেখানো কাজ করে নিজেদের পকেট ভারী করা হলেও এদিকে ঝুঁকিপূর্ন ভবনে প্রাণহানির আতংকে প্রতিদিন ক্লাস করতে হচ্ছে কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের। এ বিষয়ে কারও কোন মাথা ব্যথা নেই। ১৯৮৬ সনে স্থাপিত হয়েছিল এই বিদ্যালয়টি। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় বিদ্যালয় ভবনের দেয়ালের পলেস্তারা খসে পড়েছে। সুরকী, সিমেন্ট বিহীন পিলারের রডের উপর ঝুঁলে আছে ছাদ। যে কোন সময় তা ধ্বসে পড়ে প্রাণহানি ঘটতে পারে। স্কুলে নেই পর্যাপ্ত ব্রেঞ্চ। ভাঙ্গা ব্রেঞ্চগুলো স্তুপ করে রাখা হয়েছে রুমের এক কোনায়। স্লিপ ও শিশু শ্রেণীর বরাদ্ধকৃত টাকায় কোন কাজ করা হয়নি। ছোট ধরনের মেরামতের বরাদ্ধকৃত ৭৩ হাজার ৮শ ৫০ টাকায় শুধু ছাদে সিমেন্টের লোক দেখানো প্রলেপ দেয়া হয়েছে। বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নাজমূল ইসলাম জানান, স্লিপ ও শিশু শ্রেণীর বরাদ্ধকৃত টাকা এখনো ব্যাংক থেকে উত্তোলন করা হয়নি। ছোট ধরনের কাজের বরাদ্ধকৃত অর্থে বিদ্যালয়ের ছাদ ও অফিস কক্ষের ফেøার মেরামত করেছে এসএমসি কমিটি। ঝুকিপূর্ন পুরাতন ভবনটি জরুরী ভিত্তিতে মেরামতের জন্য উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবরে আবেদন করা হয়েছে। এলাকার অভিভাবকগন অভিযোগ করেন, এই বিদ্যালয়ের শিক্ষকগন যথাসময়ে স্কুলে আসেন না। বিকেল সাড়ে ৩ টার আগেই স্কুল ছুটি দিয়ে দেয়া হয়। উপজেলা সহকারি শিক্ষা অফিসার স্কুল পরিদর্শনে আসেন না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন অভিভাবক জানান, উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোজাহিদুল ইসলামকে ম্যানেজ করেই বিদ্যালয়ের সংস্কারের টাকা আত্মসাত করেছেন এসএমসি কমিটির লোকজন।