রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৭:০২ পূর্বাহ্ন

মরুর পথে দুধের ঝর্ণা

1ফুলবাড়িয়া নিউজ 24ডটকম : হিজরতের পথে নবী মুহাম্মদ সা.। মক্কা ছেড়ে মদিনার পথে। উম্মু মাবাদ আল-খুজায়িয়ার তাঁবু ঘেঁষে পথচলা। যাওয়ার পথে উম্মু মাবাদের সঙ্গে দেখা। মাবাদ একজন নারী। বয়সের ভারে নুইয়ে পড়ে যেন। পথিকদের তিনি তাঁবুর আঙিনায় বসে খাবার ও পানি দিতেন। হিজরতের পথে নবী সা. উম্মু মাবাদের কাছ থেকে গোশত ও খেজুর কিনতে চাইলেন। কিন্তু কই! মাবাদের নিকট তো খেজুর-গোশত কিছুই নেই।

নবীজি সা. তাঁবুর একপাশে একটি ছাগলের দেখে বললেন, হে উম্মু মাবাদ! এই ছাগলটির কী অবস্থা?

সে বলল, দুর্বলতার কারণে ছাগলটি পড়ে আছে। নবী বললেন, ছাগলটি দুধ দেয় কি? সে বলল, ছাগলটি খুবই দুর্বল।

নবীজি বললেন, তুমি কি আমাকে তা দোহন করার অনুমতি দেবে? উম্মে মাবাদ বললেন, আমার বাবা-মা আপনার জন্য উৎসর্গ হোক! আপনি যদি তা দোহন করতে চান, তাহলে অবশ্যই দোহন করুন।

নবীজি সা. ছাগলটিকে কাছে আনালেন, তারপর তিনি তার ওলানে আল্লাহর নামে হাত রাখলেন। দুধে ভরে গেল বকরির ওলান। নবী দুধ দোহন করলেন। দুধে ভরে গেল পাত্র। চারদিকে কাঁচা দুধের ঘ্রাণ।

নবীজি উম্মু মাবাদকে তৃপ্তি সহকারে দুধ পান করালেন। দুধ পান করালেন সাহবিদের। পরিতৃপ্ত সকলে। নবীজি আবারও দুধ দোহন করলেন। ভরে রাখলেন সঙ্গের পাত্রটি। উম্মু মাবাদের পাত্রগুলো ভরে দিলেন।

উম্মু মাবাদ নবীর বরকতময় হাতের ছোঁয়া দেখে অভিভূত। তার আবদারে নবীজি আবাও সাক্ষাতের প্রতিশ্র“তি দিয়ে বিদায় নিলেন। একপাল ছাগল নিয়ে তাঁবুতে ফিরলেন মাবাদের বর। ছাগলগুলো ক্লান্ত-অনেকটা দুর্বলও বটে। তাঁবুর কোণে পাত্রভরা দুধ দেখে অবাক তিনি!

স্বামী বললেন, হে উম্মু মাবাদ! এই দুধ কোথা থেকে এলো, অথচ বকরিগুলো ছিল দূরে, অনেক দূরে। তাছাড়া ঘরে তো দুধও ছিল না?

জবাবে সে বলল, আল্লাহর শপথ! ঘরে কোনো দুধের ফোটাও ছিল না। তবে বরকতময়ী একজন মহামানবের স্পর্শে দুর্বল ছাগলে দুধের ঝর্ণা বয়ে গেছে।

সূত্র, আমাদের সময় ডটকম

Please Share This Post in Your Social Media

কপিরাইট © ফুলবাড়িয়ানিউজ২৪ ডট কম ২০২০
Design & Developed BY A K Mahfuzur Rahman