বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:৩৯ পূর্বাহ্ন
ফুলবাড়িয়া নিউজঃ মদিনা হিল্টন হোটেলে প্রবাসী বাঙালিদের সাথে মত বিনিময় অনুষ্ঠানে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশের অগ্রগতি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা দেখেন যে, বাংলাদেশকে কোথা থেকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছি। আপনারা নিজেরাও উপলব্ধি করতে পারবেন- আমরা বাংলাদেশকে উন্নতির দিকে নিয়ে যাচ্ছি। এখন আর কেউ বাংলাদেশকে অবহেলার চোখে দেখে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের দরিদ্র বলে কেউ আর গালি দিতে পারবে না। আমরা দারিদ্র্য সীমা থেকে উঠে আসার পথে অনেক দূর এগিয়ে গেছি। আমদের আরো এগিয়ে যেতে হবে।
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বুলগেরিয়ার রাষ্ট্রপ্রতির এক বক্তব্যের কথা স্মরণ করে বলেন, বুলগেরিয়া গেলাম সেখানে বুলগেরিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, বাংলাদেশ কি করছে এটা একটা ম্যাজিক। আমি বললাম, না এটা আমাদের আন্তরিকতা। আমরা দেশেকে ভালোবেসে কাজ করি বলে, দেশের উন্নয়নে কাজ করি বলে এটা আমরা করতে পারছি।
অর্থনৈতিক অগ্রগতির কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের অর্থনীতি এখন খুবই ভালো অবস্থায় আছে। বাংলাদেশের মানুষের অবস্থা এখন অনেক ভালো। দারিদ্র্যের হার অনেকটা কমে গেছে। রিজার্ভ, মাথাপিছু আয় বেড়েছে ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মোসিহ, সৌদি আরবে প্রবাসী আওয়ামীলীগ নেতারা দাম্মাম বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি মোঃ আইয়ুব আলী, সাধারণ সম্পাদক মোজামেল হক, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার কায়সারুল হক, মাদিনা আওয়ামী ফাউন্ডেশন সভাপতি মোঃ ইদ্রিস মিয়া, স্বেচ্ছসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আসগার আলী ,মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদের সভাপতি ইউসুফ মাহমুদ ফারাজি, ফ্রেন্ডস অফ বাংলাদেশের সভাপতি মমতাজ হোসেন চৌধুরী, আওয়ামী ফাউন্ডেশনের সভাপতি তাজুল ইসলাম মজুমদার, মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদের সহ সভাপতি আব্দুর রশিদ, আমির মোঃ মুজিব, সাংগঠনিক সম্পাদক ইরতিজা উজ্জল, রিয়াদ আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি মোঃ জাকির হোসেন, দাম্মাম বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সভাপতি মোঃ কামাল হোসেন, প্রমুখ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, চট্টগ্রামে পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতুর হত্যার সাথে জড়িতদের কাউকে ছাড়তে হবেনা। যারা অন্যায় করেছে তারা ধরা পড়বে। তাদের আমরা রেহাই দেবো না।
তিনি বলেন, সন্ত্রাস দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান সবসময় সুদৃঢ়। তবুও বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। এটা অত্যন্ত কাপুরুষিত কাজ। পুলিশ অফিসারের স্ত্রীকে হত্যা করা হলো। তার তো কোনো দোষ ছিলো না। বাচ্চার সামনে থেকে টেনে নিয়ে তাকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। বিগত সময়ের সহিংস রাজনীতির সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জ্বালাও-পোড়াও করে মানুষ হত্যা করলো। প্রকাশ্য দিবালোকে মানুষকে পুড়িয়ে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। গাড়িতে, বাসে আগুন, ট্রেনে আগুন, লঞ্চে আগুন, ট্রাকে আগুন দিয়ে মানুষকে পুড়িয়েছে। আর এখন হচ্ছে গুপ্তহত্যা।
সন্ত্রাসবিরোধী অবস্থানের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, সবার সঙ্গে সব দেশের আমাদের সুসম্পর্ক। বিশেষ করে সৌদি আরবের সঙ্গে। সৌদি আরব যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে যেমন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কাউন্টার টেরোরিজমের যে পদক্ষেপ, আমরা সেটা সমর্থন করেছি।