সোমবার, ২৯ মে ২০২৩, ১০:৫৩ পূর্বাহ্ন
জাহিদুল ইসলাম খান ভালুকা ঃ ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলার শিল্পাঞ্চল খ্যাত হবিরবাড়ী ইউনিয়নের আমতলি এলাকায়, ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে প্রতিষ্ঠিত অবহেলিত,নন-এমপিও শিা প্রতিষ্ঠান হবিরবাড়ী আমতলি সাবিহা সুলতানা দাখিল মাদরাসা।বর্তমানে মাদ্রাসাটিতে ফুল টাইম শিক্ষক ১০জন ও পার্ট টাইম শিক্ষক আছে ৪জন । ছাত্র ছাত্রীর সংখ্যা ২০০জন ।
মহাসড়কের পাশে থাকলেও এই প্রতিষ্ঠানটি শুরুর আগে এলাকার অধিকাংশ মানুষ ছিলেন শিার আলো থেকে বঞ্চিত।প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা হওয়ায় ক্রমেই বাড়ছে শিার হার।সরকারি বা বেসরকারি কোনো প্রতিষ্ঠানের কাছে ধরনা না দিয়ে নিররদের মাঝে শিার আলো জ্বালাতে ওই সময়ের গৌরিপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এই স্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত স্ত্রীর নামে তাঁর ও স্থানীয়দের উদ্যোগে ২০০৩ সালে স্থানীয় দাতাদের দেয়া জায়গায় গড়ে তোলেন হবিরবাড়ী আমতলি সাবিহা সুলতানা দাখিল মাদরাসাটি। নিয়মিত পাঠদান,খেলাধুলা,সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ সরকারি সকল নিয়ম পালন করে মাদরাসাটি এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের মতোই সচল। অথচ শিার্থীদের নিয়মিত পাঠদান করেও বিনা বেতনে শিকদের জীবন অচল।
বিগত বছরগুলোতে ভালো রেজাল্ট করেও প্রতিষ্ঠার পর থেকে অদ্যাবধি প্রতিষ্ঠানটির ভাগ্যে জোটেনি সরকারি বা বেসরকারি উল্লেখযোগ্য অনুদান কিংবা ভাগ্যহত শিকদের ভাগ্যে জোটেনি এমপিও নামক সোনার হরিনের দেখা।
শিদের বেতন-ভাতা না থাকায়,অনেক শিক জীবিকার তাগিদে অন্যত্র চলে যাওয়ায় রয়েছে শিক সংকট,জরাজীর্ণ ভবন, চেয়ার-টেবিলের অভাব,বেঞ্চ, আসবাবপত্র, খেলার মাঠসহ নানাবিধ সংকটে ব্যাহত হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটির পাঠদান ।প্রতিষ্ঠানটির পাঠদান,একাডোমিক অনুমোদন থাকলেও বিনা বেতনে ১৪ বছর পার করে ভাগ্য বিড়ম্বিত নন-এমপিও শিকগন চরম অবহেলায় কষ্ট ও দৈন্যতায় দিনাতিপাত করছেন।
প্রতিষ্ঠানের সহকারী শিক জলিলুর রহমান জানান, হবিরবাড়ী আমতলি সাবিহা সুলতানা দাখিল মাদরাসাটি বর্তমান যুগ্ন সচিব শেখ আলমগীর হোসেন ২০০৩ সালে তাঁর স্ত্রীর নামে প্রতিষ্ঠা করেন। এলাকাটিতে আনেক শিল্প-কারখানা থাকায় শিার্থীর পদভারে মুখরিত এই প্রতিষ্ঠানটি এমপিও ভুক্ত না হওয়ায় শিার্থী ঝরে পড়াসহ শিকদের জীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠছে।
প্রতিষ্ঠানটি থেকে প্রাথমিক সমাপনি পরীা,জেডিসি পরীা ও দাখিল পরীায় প্রতি বছর আশানুরুপ ফলাফল নিয়ে শিার্থীরা পাশ করে কলেজে অধ্যায়ন করে নজরুল ইউনিভার্সিটিসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে লেখাপড়া করে তাদের জীবন গড়ছে অথচ নন-এমপিও শিকগণ এমপিওর আশায় নষ্ট করছেন তাদের জীবন।
হবিরবাড়ী আমতলি সাবিহা সুলতানা দাখিল মাদরাসার সুপার মাও: তাজুল ইসলাম বলেন-বিনা বেতনে শিকদের ধরে রাখা কষ্ট হয়ে যাচ্ছে,সরকার আমাদের নন-এমপিও শিদের দ্রুত এমপিওর ব্যাবস্থা করলে উপকৃত হতাম।
ওই প্রতিষ্ঠানের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জন শিক বলেন-এমপিও না থাকায় সামাজিক অবজ্ঞার শিকার হতে হচ্ছে আমাদেরকে।অবমূলায়িত হতে হতে আর সহ্য হচ্ছেনা এই জীবন-বললেন আরেক শিকিা। প্রতিষ্ঠানটি বাঁিচয়ে রাখতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সু দৃষ্টি কামনা করে, অন্যান্য শিকগণ এমপিওভুক্তির জোড় দাবী জানান।