রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৪:২২ পূর্বাহ্ন
মোঃ মনিরুজ্জামান খান, ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধিঃ ভালুকায় গত ৪ জুন অনুষ্ঠেয় ইউপি নির্বাচনে পুলিশের গুলিতে আহত ছাত্রলীগ নেতা আবু হানিফ (২০) নিহত হওয়ার ঘটনায় সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার বাদি হয়ে মঙ্গলবার রাতে ভালুকা মডেল থানায় বিস্ফোরক আইনে অজ্ঞাত ২০০ থেকে ২৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা (নম্বর-০২,তারিখ-০৭,০৬,১৬) দায়ের করেছেন। এদিকে ময়না তদন্তের পর বুধবার রাত পৌনে ৮ টায় নিহত হানিফের নামাজে জানাজা শেষে তার লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
পুলিশ, নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ডাকাতিয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড হোসেনপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট গ্রহনের পর গণনার সময় কেন্দ্রের বাইরে প্রার্থীদের মাঝে পরস্পর বিরোধী অপপ্রচার শুরু হলে মেম্বার প্রার্থীর কর্মী সমর্থকদের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। কিছু সংখ্যক উসৃঙ্খল যুবক ভোট কেন্দ্রের বাইরে থেকে দরজা জানালা ভাংচুর করার চেষ্টা করলে ঘরের ভিতর থেকে পুলিশ কয়েক রাউন্ড গুলিবর্ষন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ সময় হোসেনপুর গ্রামের ইয়াদ আলীর ছেলে ওই ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের যুগ্ম-সম্পাদক আবু হানিফ গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন। আকে প্রথমে টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ও পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করার পর সেখানে চিকিৎসাধিন অবস্থায় সোমবার রাতে তিনি মারা যান।
নিহত আবু হানিফের বাবা ইয়াদ আলী জানান, তার ছেলে গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় মারা গেছে।
ওই ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম জানান, সোমবার রাত ৮টায় গুলিবিদ্ধ ৬ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের যুগ্ন-সম্পাদক আবু হানিফ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় মারা যান।
উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার হক সজীব জানান, এ ভাবে পাখির মতো গুলি করে মানুষ হত্যা মেনে নেয়া যায়না। এ ব্যাপারে সাংগঠনিকভাবে বসে আলোচনা করে পরবর্তী কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।
প্রিজাইডিং অফিসার মোজাম্মেল হক জানান, ভোটগ্রহনের শেষ সময়ে বাহিরে ককটেল বিস্ফোরণ ও গোলযোগের ঘটনা ঘটলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশকে গুলি করার নির্দেশ দেয়া হয়। তখন পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়েছিল কিনা তা আমার জানা নেই। এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে ভালুকা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
ভালুকা মডেল থানার ওসি মামুন অর রশিদ জানান, এ ব্যাপারে অজ্ঞাত দু’শ থেকে ২৫০ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখনো কেউ গ্রেফতার হয়নি।