রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০২:৫০ পূর্বাহ্ন
ফুলবাড়িয়া নিউজ 24ডটকম : ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়ায় পুলিশের সাথে আন্দোলনকারীদের সাথে আজ রবিবার দুপুর হতে সন্ধ্যা পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষে শিক্ষকসহ ২জন নিহত হয়েছেন, পুলিশসহ আহত অন্তত শতাধিক এসময় পুলিশ ৪জনকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ ও র্যাব কয়েক দফায় শতাধিক রাউন্ড রাবার বুলেট এবং ২০টি টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে। উপজেলা সদরে অতিরিক্ত পুলিশ ও র্যাব মোতায়েন রয়েছে।
ফুলবাড়ীয়া কলেজ সরকারীকরণের দাবীতে ৪৩তম দিনে বেলা ১টার দিকে আন্দোলনকারীরা গ্রেফতারের প্রতিবাদে প্রতিবাদ মিছিল করতে চাইলে পুলিশ তাতে বাধা দেয়।
এক পর্যায়ে আন্দোলনকারীরা কলেজের মুল ফটক খুলে বের হতে চাইলে পুলিশ বেরিকেট সৃষ্টি করে। পরে আন্দোলনকারীরা সেখান থেকে সেøাগান দিতে থাকে। ১.৩০মিনিটে আন্দোলনকারী প্রধান সমন্বয়ক অধ্যাপক এস এম আবুল হাশেম বিক্ষোভ করতে না দেয়ায় বিকাল ৫টা পর্যন্ত অবরোধের ঘোষণা দেন। ছাত্র-ছাত্রীরা বের হয়ে বিভিন্ন স্থানে যাওয়ার সময় পুলিশকে নিয়ে কটাক্ষকারী একজন কে গ্রেফতার করলে পেছন থেকে পুলিশের উপর আন্দোলনকারীরা ঢিল ছুড়লে পুলিশ পাল্টা জবাবে কলেজের ভেতরে থাকা আন্দোলনকারীদের উপর লাঠিচার্জ শুরু করে। এতে শিক্ষকসহ আহত হয় প্রায় অর্ধশত। ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় পাল্টা ধাওয়ায় পদপৃষ্ঠ হয়ে পথচারী ছফর আলী (৬৫) এবং মারাতœকভাবে আহত উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ (৫২) প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরবর্তীতে কমিউনিটি বেজড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে বিকেল ৪টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করে।
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে সকল শ্রেণীর মানুষ বেরিয়ে আসে রাস্তায়। ময়মনসিংহ থেকে আরও বিপুল সংখ্যক অতিরিক্ত পুলিশ গাড়ী নিয়ে আসলে তাতে আন্দোলনকারীরা বৃষ্টির মতো ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। পুলিশ আরও বেশি চড়াও হয়। শুরু হয় রাবার বুলেট, টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ। পুলিশও ইটপাটকেল ছুঁড়ে। সন্ধ্যার আগে ময়মনসিংহ থেকে র্যাব আসলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে।
আহত শিক্ষকদের মধ্যে হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো: ফজলুল হক, একই বিভাগের মো. ইমাম হোসেন, রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক মো: হেলাল উদ্দিন তালুকদার, ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক উপেন্দ্র চন্দ্র দাস এর অবস্থাও গুরুতর। একই ঘটনায় পুলিশের ১০/১২জন, সাংবাদিকসহ সাধারণ মানুষ মিলে আহত প্রায় শতাধিক।
আন্দোলনকারীদের সমন্বয়ক এস এম আবুল হাশেম জানান, আমরা শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ করতে চাইছি। কিন্তু আমরা ব্যারিকেট অতিক্রম করি নাই। কেন নিরীহ শিক্ষক-কর্মচারী, ছাত্র-ছাত্রীদের উপর ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে পুলিশ কেন লাঠিচার্জ করল।
থানা অফিসার ইনচার্জ রিফাত খান রাজিব জানান, আগে পুলিশের উপর ইট পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়েছে। আমরা পরিস্থিতি বেগতিক দেখে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার জন্য লাঠিচার্জ করা হয়েছে।