বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০১:৩০ পূর্বাহ্ন

ফুলবাড়ীয়ায় এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষার ফরম পূরণে অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ

ফুলবাড়িয়া নিউজ ২৪ডটকম : ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলার বিভিন্ন স্কুল ও মাদ্রাসার ২০১৭সালের এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণে অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত ফি না নেয়া সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনকে তোয়াক্কা করছেন প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ।
২০১৭সালে এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষার্থীদের ১৪নভেম্বর বিলম্ব ফি ছাড়া ফরম পূরণের সময় বেধেঁ দিয়ে গত ২৬সেপ্টেম্বর/২০১৬ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা এবং ২৮সেপ্টেম্বর/২০১৬ বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড বিজ্ঞপ্তি জারি করে। এর ধারাবাহিকতায় উপজেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গত ১০নভেম্বর ফরম পূরণের শেষ সময় বেঁধে দিয়েছিল। এ সংক্রান্ত সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে ফি নির্ধারণ পূর্বক একটি নোটিশ প্রদান করে প্রতিষ্ঠান প্রধান। নোটিশে উল্লেখিত ফি’র হার দেখে হতাশ হয়েছেন অনেক অভিভাবক। সরকারীভাবে কোচিং নিষিদ্ধ থাকলেও সকল শিক্ষার্থীর জন্য কোচিংয়ের নামে বিশেষ কাশ বাধ্যতামুলক হয়েছে। উপজেলার অনেক নামী-দামি প্রতিষ্ঠানে বিজ্ঞান বিভাগে ফি নির্ধারিত হয়েছে সাড়ে ৫হাজার থেকে ৩হাজার টাকা এবং মানবিকের জন্য ৫হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকা। যে সকল ফিস নির্ধারিত ছিল সে সকল ফিসও আবার আদায় হয় ব্যবহারিক পরীক্ষার সময়। ‘শান্তি’ ফি এখনো চালু আছে ভিন্ন নামে। প্রতি বছর ব্যবহারিক পরীক্ষার যন্ত্রপাতি ক্রয়ের নামে হাজার হাজার টাকা লুটপাটও হচ্ছে কেন্দ্রগুলোতে।
যেখানে ঢাকা বোর্ডের জারিকৃত বিজ্ঞপ্তিতে ছাত্রপ্রতি পরীক্ষার ফি, ব্যবহারিক পরীক্ষার ফি, একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট ফি, মূলসনদ ফি, অনিয়মিত ফি, বয় স্কাউট/গার্লস গাইড ফি, জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ফি, বার্ষিক ক্রীড়া এফিলিয়েশন ফিসহ বিজ্ঞান বিভাগ ১৭৮৫/- টাকা এবং মানবিক ১৬৯৫টাকা নির্ধারন করে। অনেক সচেতন ও অস্বচ্ছল পরিবার ফরম পূরণ না করায় উল্টো তাদের উপর জরিমানার তীর ছুড়ছেন প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টরা। তবে অভিযোগের সততা যাচাইয়ের জন্য স্কুলে গেলে প্রতিষ্ঠান প্রধানরা অতিরিক্ত কাশ, মিলাদ খরচ আর এই সেই দেখিয়ে পাস কাটানোর চেষ্টা করেন। অনেকে ছাত্রদের এ বিষয়ে মুখ খুলতে নিষেধ করেছেন, কেননা সামনে ব্যবহারিক পরীক্ষা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রতিষ্ঠান প্রধান জানান, আমরা ৩হাজার টাকা নির্ধারন করেছিলাম তেমন সাড়া পাইনি। মাত্র কয়েকজন ২হাজার ২২শ টাকা দিয়েছে- অনেকের টাকা আমাদের পকেট থেকে দিতে হচ্ছে।
কুশমাইল ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. চান মিয়া জানান, আমরা বোর্ড ফি’র বাইরে মিলাদ ও অন লাইন বাবদ কিছু টাকা নিয়েছি। তবে ৪/৫হাজার টাকার কথা উড়িয়ে দেন তিনি।
আল হেরা একাডেমী উচ্চ বিদ্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত সিনিয়র শিক্ষক আকবর হোসেন জানান, ফরম পূরণ দু’ হাজার আর অতিরিক্ত কাশ দু’হাজার। অনেকে অতিরিক্ত কাশ ফি বাকীও রাখছে।
ফুলবাড়ীয়া পাইল মডেল উচ্চ বিদ্যায়ের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল হাই অভিযোগের বিষয়টি উদ্দেশ্যে প্রণোদিত বলে উল্লেখ করেন। তিনি আরও বলেন, বিজ্ঞান বিভাগ দু’হাজার এবং মানবিক উনিশত টাকা আমরা আদায় করেছি। অতিরিক্ত কাশ বাধ্যতামুলক করে প্রতিমাসের জন্য ৭শ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নাসরিন আক্তার জানান, বোর্ড ফি এর বাইরে অন্য কোন টাকা নেয়ার সুযোগ নাই। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের কাছে জিম্মি- পরিন্ত্রাণ পেতে অভিভাবকরা প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন। ###

Please Share This Post in Your Social Media

কপিরাইট © ফুলবাড়িয়ানিউজ২৪ ডট কম ২০২০
Design & Developed BY A K Mahfuzur Rahman