রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৫:২৫ পূর্বাহ্ন
ফুলবাড়িয়া নিউজ 24 ডট কম : ৮ ডিসেম্বর ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া হানাদার মুক্ত দিবসে র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ উপজেলা কমান্ড এর উদ্যোগে সদরের মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিসৌধ চত্বরে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা। এতে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা (ইউএনও) ও কমান্ডার মোহাম্মদ নাহিদুল করিম। বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হারুন অর রশিদ, বীরমুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম, বীরমুক্তিযোদ্ধা মাহতাব উদ্দিন, বীরমুক্তিযোদ্ধা মমতাজুল ইসলাম হীরা সহ বিভিন্ন পর্যায়ের বীরমুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ।
জানা যায়, ১৯৭১ সালের এইদিনে ফুলবাড়িয়া উপজেলার লক্ষীপুর, আছিম, রাঙ্গামাটিয়াতে বেশ কয়েকটি সম্মুখ যুদ্ধ সংঘটিত হয়। এতে শহীদ হন ৭ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা। ফুলবাড়ীয়ার লক্ষীপুর গ্রামে ১০/১২ জন মুক্তিযোদ্ধা অসীম সাহসিকতার সাথে পাক হানাদার বাহিনীর দুটি গাড়ি চুর্ণ-বিচুর্ণ করে দেয় এবং ৬৮ জন পাকসেনাকে খতম করে। সাইফুল ইসলাম নামে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা এই অপারেশনে শহীদ হয়। ৬৮ জন পাকসেনা খতমের খবর ময়মনসিংহ গিয়ে পৌছলে পাকবাহিনী প্রতিশোধ নেয়ার জন্য লক্ষীপুর গ্রামের শতশত বাড়ী ঘর জ্বালিয়ে দেয় এবং ৪ জন নিরীহ গ্রামবাসিকে ধরে এনে লক্ষীপুর বাজারে ব্রাশ ফায়ারে হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে যায়। রাঙ্গামাটিয়া গ্রামে বিরতিহীনভাবে ৭২ ঘণ্টা যুদ্ধ হয়েছিল পাকসেনাদের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের। পাকসেনারা রাঙ্গামাটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ছাদের ওপর মেশিনগান বসিয়ে বৃষ্টির মতো গুলি ছুড়ে মানুষ হত্যা করেছিল। ক্যাম্পে ধরে আনা অসহায় মানুষকে বানার নদীর ব্রিজের ওপর সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করিয়ে গুলি করে হত্যার পর লাশ ফেলে দিত। স্বাধীনতাকামী দামাল ছেলেরা হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে।