বুধবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৩, ১০:১১ পূর্বাহ্ন
মো. নজরুল ইসলাম মধুপুর (টাঙ্গাইল) থেকে: ঘাটাইলের ধলাপাড়া দেশের বৃহৎতম রেডিমেড ফার্নিচার হাট। এ হাট থেকে প্রতি বৃহস্পতি ও সোমবার প্রায় কোটি টাকার রেডিমেড ফার্ণিচার কেনা-ঁেবচা হয়।ঢাকা,চট্রগ্রাম,ময়মনসিংহ,জামালপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে লোকজন আসেন ঘরের নিত্য প্রয়োজনীয় আসবাব-পত্র কেনা-বেঁচার জন্য।
ঘাটাইল সদর থেকে ১৪ কি.মি পূর্বে এবং ভালুকা-উথরা সড়কের সাগরদিঘী থেকে ১২ কি.মি পশ্চিমে বংশাই নদীরপাড়ে অবস্থিত ধলাপাড়া হাট। এ হাট থেকে প্রতি বৃহস্পতি ও সোমবার ৫শ থেকে ৮শ বিভিন্ন প্রকারের খাঁট,সোফাসেট,ড্রেসিং টেবিল,ডাইনিং টেবিল, সুকেজ,চেয়ার-টেবিল এবং দরজা-জানালা বেঁচা কেনা হয়।
গত ২মার্চ বৃহস্পতিবার সরেজমিনে ধলাপাড়া ফার্নিচার হাটে গিয়ে-বিক্রোতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, দেশের অন্যতম বৃহৎ রেডিমেড পার্নিচার হাট ধলাপাড়া।
ফুলবক্স, সেমিবক্স, বেগি খাট, বোম্বাই ও রাশিয়ান খাট পাওয়া যায়। ২হাজার ৫শত টাকা থেকে ৬০ হাজার টাকা দামের খাট পাওয়া যায় এই হাটে। এছাড়াও গোল ড্রেসিং টেবিল, ছয়কোনা ড্রেসিং টেবিল, তিনচাল ড্রেসিং টেবিল, দুইচাল ড্রেসিং টেবিল ও কানিশ ড্রেসিং টেবিল এবং লতা সোফা,হাতি সুড় সোফা,বল সোফা ও বক্স সোফাসেট কেনা-বেঁচা হয় এ হাটে। নিম্নবিত্ত থেকে উচ্চবিত্ত পরিবারের লোকজন এ হাটের ক্রেতা।
এ হাটে ঘাটাইল ছাড়াও মধুপুর,সখীপুর,বাসাইল,কালিহাতী,ভূয়াপুরের ক্রেতা-বিক্রেতারা অতি সহজেই ঘরের নিত্য প্রয়োজনীয় আসবার পত্র কেনা-বেঁচা করে থাকেন।
কালিহাতীপ স্থানীয় ব্র্যাক ব্যাংক ব্যস্থাপক মো.আবির আজাদ এসেছেন ফর্নিচার কেনার জন্য। তিনি জানান, সাধ ও সাধ্যের মধ্যে ভালো ফার্নিচার পাওয়া যায়এ হাটে।
রঘুনাথপুর গ্রামের মো.বিÍাল হোসেন এসেছেন ঘরের খাট ও দরজা-জানালা কেনার জন্য।
তিনি জানান, নিম্নবিত্ত মানুষের জন্য এ হাটের ফার্নিচার খুবই ভালো।
এ হাটের অন্যতম বড় ফার্নিচার ব্যবসায়ী মো.আবদুল আজিজ জানান,ভৌগলিক অবস্থা এবং যাতায়াত সুবিধাজনক হওয়ায় দেশের অন্যতম বৃহৎ হাট ধলাপাড়া।
মো.মোতালেব নামের আরেক ব্যবসায়ী জানানএখনএকটু কেনা-বেঁচা কম। তবে পহেলা বৈশাখ থেকে ৫ মাস কেনা-বেঁচা বেশি।
হাটের ইজারাদার কাজী মোখলেছুর রহমান জানান,২০১৭-১৮ অর্থ বছরের জন্য ১৬ লাখ ১ হাজার টাকা দিয়ে হাট ইজারা নিয়েছি। যা গত কয়েক বছরের চেয়ে অনেক বেশি। তিনি জানান,হাটের ইজারা কমলে ক্রতারাও ফার্নিচার প্রতি খাজনাও কম পেত। প্রতিটি খাটের জন্য ৫০ টাকা থেকে ২ শ টাকা খাজনা দিতে হয় ক্রতাকে।
অধ্যাপক শেখ রফিকুল ইসলাম জানান,ধলাপাড়া ফার্নিচার হাটের সুনাম দেশের বিভিন্ন স্থানে রয়েছে।