জৈব সার ব্যবহারে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করছে ‘কৃষকের বাতিঘর’


প্রকাশের সময় : সেপ্টেম্বর ৩, ২০২২, ১২:৩০ PM / ৮৭
জৈব সার ব্যবহারে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করছে ‘কৃষকের বাতিঘর’

জমিতে অতিরিক্ত মাত্রায় রাসনায়িক সারের ব্যবহার কমিয়ে জৈব সার ব্যবহারের মাধ্যমে নিরাপদ সবজি, ফসল ও ফল উৎপাদনে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করছে কুষ্টিয়ার কৃষি উন্নয়ন বিষয়ক লাইব্রেরি ও সংগঠন কৃষকের বাতিঘর।

গতকাল শুক্রবার দিনব্যাপী কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার আমলা ও সদরপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের ফসলের মাঠে কৃষকের বাতিঘরের সদস্যরা কৃষকদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেন। এসময় তারা কৃষকদের রাসনায়িক সারের ব্যবহার কমিয়ে জৈব সারের ব্যবহার বিষয়ে বই পড়ে শুনিয়ে পরামর্শ দেন এবং উৎসাহিত করেন।

এই কার্যক্রমে অংশ নিয়ে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলেন কৃষকের বাতিঘরের কোষাধ্যক্ষ আসাদুজ্জামান রতন, কার্যনির্বাহী সদস্য জিনিয়া আক্তার, সদস্য মীম আক্তার এবং সাদিয়া ইসলাম সানজিদা। তারা বলেন, আমরা যদি রাসনায়িক সারের ব্যবহার কমিয়ে জৈব সার ব্যবহার করি, তাহলে ধানসহ অন্যান্য ফসলে ১৫ থেকে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত ফলন বাড়ে। কৃষক যদি একবার ব্যবহার করে দেখেন তিনি উপকার পাচ্ছেন, তাহলে তিনি জৈব সাওে ফিওে আসবেন।

কৃষকের বাতিঘরের সাধারণ সম্পাদক হোসাইন মোহাম্মদ সাগর বলেন, ‘জমিতে কৃষকরা সাধারণত বেশি দেন ইউরিয়া সার। এই ইউরিয়া ছিটানোর পর গাছটা গাড়ো সবুজ হয়ে যায়। তখন কৃষকরা মনে করেন তিনি হয়ত সঠিক পথে আছেন। এই কারণে ইউরিয়ার প্রতি তার একটা বিশেষ ভালোবাসা আছে। এ মুহূর্তে আমারা জৈব সার নিয়ে কাজ করছি। কৃষকরা আসলে আগ্রহী হয়ে উঠছেন জৈব সার ব্যবহারের জন্য। এছাড়া কৃষকের বাতিঘরের উদ্যোগে জৈব সারের ব্যবহার নিয়ে অনেকগুলো প্রদর্শনী খামার করা হচ্ছে, যেগুলো দেখে কৃষকরা উদ্বুদ্ধ হবেন বলে আশা করছি।’

দিনব্যাপী এই কার্যক্রমে আরও সম্পৃক্ত ছিলেন লাইব্রেরি ও সংগঠনের সভাপতি মো. সামসুল হক, সহ-সভাপতি কাঞ্চন কুমার, কার্যনির্বাহী সদস্য মো. হাবিবুর রহমান, মো. জাহিদ হাসানসহ অন্যরা। এই কার্যক্রমে সহযোগিতা করে ‘অ্যাগ্রো অ্যালকেমি’ এবং ‘কৃষিবিডি’। কর্মশালা শেষে কৃষকদের মধ্যে বিনামূল্যে অ্যাগ্রো অ্যালকেমির জৈব সার বিতরণ করা হয়।  সংগৃহিত