বুধবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৩, ০৯:২৩ পূর্বাহ্ন
ফুলবাড়িয়া : কাজ করলে স্বীকৃতি মিলে। আর স্বীকৃতি পেলে কাজের স্পৃহা আরও বেড়ে যায়। তখন উভয় পক্ষই লাভবান হয়। তবে কাজের পরিবেশ কাজকে ত্বরান্বিত করে এতে কোন সন্দেহ নেই। এমনই একজন কাজপ্রিয় মানুষ ফুলবাড়িয়া উপজেলার আলোচিত প্রতিষ্ঠান প্রধান আবু ছাইম মো: মোতাছিম বিল্লাহ। তিনি ফুলবাড়িয়া উপজেলার সীমান্তবর্তী অতি প্রাচীনতম ‘ধুরধুরিয়া আলিম মাদ্রাসা’র অধ্যক্ষ হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। প্রতিষ্ঠানটি অনেক পুরানো হলেও কালের বিবর্তনে অনেকটা মুখ থুবড়ে পড়ছিল। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর নিভে যাওয়ার দ্বারান্তে আলো জ¦লে উঠে বিদ্যাপীঠে। প্রতিষ্ঠানটির প্রতিটি বালুকণা, ইট-পাথরে তার দরদের ছোঁয়া লক্ষণীয়। অগাধ সাহস, ভালোবাসা, দরদ, জ্ঞানের প্রখরতায় তিনি অন্যান্য। যার প্রমাণ অজোপাড়া গায়ে দৃশ্যমান কাজ। তার সময়ে প্রতিষ্ঠানটির বিদ্যামান তেমন অবকাঠামোর উন্নয়ন না হলেও মাদ্রাসায় শিক্ষার মান উন্নয়ন, শিক্ষা ব্যবস্থাপনা, পাঠদান পরিচালনা, নদীগর্ভ হতে প্রতিষ্ঠান রক্ষা ইত্যাদি নানা বিষয় ফুটে উঠে।
কারো দয়া বা ভালোবাসায় নয় নিরপেক্ষতার দৃষ্টিতেই ৩য় বার হয়েছেন শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান। মাদ্রাসা লেভেলে সেরা প্রতিষ্ঠান প্রধান ইতিপূর্বে কখনো ঐ মাদ্রাসা পায়নি। এ অর্জন একান্তই তার নিজের।
জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ-২০২৩ উপলক্ষে গত ২৩ মে ময়মনসিংহের জেলা শিক্ষা অফিসার (অ.দ.) মোহছিনা খাতুন স্বাক্ষরিত এক ফলাফলে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। এছাড়াও বিভিন্ন ক্যাটাগড়িতে আরও ৪ জনকে শ্রেষ্ঠ মনোনীত করা হয়।
আবু ছাইম মো: মোতাছিম বিল্লাহ ২০১৭ সালের জুলাই মাসে ধুরধুরিয়া আলিম মাদরাসা অধ্যক্ষ পদে যোগদান করেন। এরপর থেকে মাদ্রাসায় একের পর এক পরিবর্তন আসতে থাকে। পাবলিক পরীক্ষার ফলাফলে শীর্ষস্থান দখল, উপজেলা-জেলার সকল প্রতিযোগিতায় শীর্ষে অবস্থান তৈরি করেছে। বর্তমান সরকারের শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন সহ মাল্টিমিডিয়া ক্লাশে সেরাদের সেরা সহ প্রতিযোগিতার প্রশ্ন আসলেই ধুরধুরিয়া আলিম মাদরাসার নাম চলে আসে।
অধ্যক্ষ আবু ছাইম মো: মোতাছিম বিল্লাহ বলেন, আমি আমার দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করি মাত্র। তবে জেলা পর্যায়ে আজকের এ শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন গভর্নিং বডির সভাপতি, অভিভাবক ও শিক্ষকদের আন্তরিকতায় সম্ভব হয়েছে। এ নিয়ে উপজেলা পর্যায়ে আমি তিনবার শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান প্রধান হলেও এবং একবার শ্রেষ্ঠ মাদরাসার স্বীকৃতি পেয়েছি।