ফুলবাড়িয়া নিউজ 24ডটকম : দৈনিক সমকাল ফুলবাড়ীয়া প্রতিনিধি নিজের পরিচয় আড়াল করে কবীর উদ্দিন সরকার হারুন ছোট ভাইয়ের শিক্ষা যোগ্যতা দিয়ে সংবাদপত্রের কাজটি দীর্ঘদিন যাবত চালিয়ে যাওয়ার সততা মিলেছে। জাতীয় পরিচিতি‘র বিবরণ ও সংবাদপত্রের বিবরণ সাংঘর্ষিক হওয়ায় এ নিয়ে কৌতুহলের শেষ নেই। ভূয়া ও প্রতারণা করে সাংবাদিকতা চালানোর বিচার চেয়ে সমকাল কর্তৃপক্ষ বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন ফুলবাড়ীয়া প্রেসক্লাব এর সদ্য সদস্য বঞ্চিত মো. রফিকুল ইসলাম।
অভিযোগ থেকে জানা যায়, মরহুম মোকছেদ আলী ৬জন পুত্র সন্তান রেখে মারা যান। তাদের মধ্যে সবার বড় আবুল কালাম আজাদ অর্থাৎ যিনি সমকাল ফুলবাড়িয়া প্রতিনিধি কবীর উদ্দিন সরকার নামে পরিচিতি লাভ করেছে। অনুসন্ধানে জানা যায়, মূলত কবীর উদ্দিন সরকার মরহুম মোকসেদ আলীর ২য় পুত্র সন্তান। যিনি একটি ঔষধ কোম্পানীতে চাকুরীরত। সর্বশেষ চুড়ান্ত ভোটার তালিকা-২০১৬ (আগামী ৭মে অনুষ্ঠিতব্য ইউপি নির্বাচন) অনুযায়ী ৫নং ওয়ার্ড অংশের ভোটার ক্রমিক নং- ১৮১৯, ভোটার আইডি নং- ৬১০৭৫৫০০০২৮০, নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয়পত্র নং- ১৯৭২৬১২২০০২২০১৫৪১, নাম আবুল কালাম আজাদ, পিতা মো. মোকছেদ আলী, মাতা হাসিনা বেগম যাহা যথারীতি নির্বাচন কমিশনের ওয়েব সাইডে সংরক্ষিত রয়েছে। উপজেলার ২নং পুটিজানা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের বড়খিলা গ্রামের স্থানীয়রা জানিয়েছেন, অত্র এলাকায় কবীর উদ্দিন সরকার নামে কোন সাংবাদিক নেই, আবুল কালাম আজাদ (হারুন) নামে সাংবাদিক আছে; তবে তার ছোট ভাইয়ের নাম কবীর উদ্দিন সরকার। কেন এই নাম ব্যবহার করা হচ্ছে তার কোন সদোত্তর পাওয়া যায়নি। সচেতন মহল জানিয়েছেন আবুল আজাদ হারুন এর শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র না থাকায় তার ছোট ভাইয়ের নাম ও সনদপত্র ব্যবহার করে আসছে।
সাংবাদিকতার পেশায় এমন ভূয়া ও প্রতারণার আশ্রয় নেয়ায় ফুলবাড়ীয়ায় সাংবাদিক সমাজসহ সচেতন মহলে সমালোচনার ঝড় বইছে।
আপনার মতামত লিখুন :