গৌরীপুরে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জমিতে নির্মাণাধীন ঘর ভাংচুর


প্রকাশের সময় : অগাস্ট ৩০, ২০১৬, ৩:৩১ PM / ১০৭
গৌরীপুরে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জমিতে নির্মাণাধীন ঘর ভাংচুর

govindapurমশিউর রহমান কাউসার, গৌরীপুর : ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার মইলাকান্দা ইউনিয়নে গোবিন্দপুর গ্রামে মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গোবিন্দপুর হাই স্কুল মাঠ সংলগ্ন এক মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জমিতে নির্মাণাধীন ঘর ভাংচুর করে নির্মান সামগ্রী নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠেছে ওই স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে। জানা গেছে এ উপজেলার গোবিন্দপুর (বড় কালীহর) গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আব্দুল মান্নানের পুত্র জাহাঙ্গীর আলম সোহাগ (৩৮) তার পৈত্রিক ১০ শতাংশ জমির মধ্যে সম্প্রতি সেমি পাকা ঘর উত্তোলনের কাজ করছিলেন। এসময় গোবিন্দপুর হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক শাহ মোঃ মহসীন, সহকারি শিক্ষক শাহজাহান ও আব্দুল মালেকের বাঁধার মুখে তিনি নির্মান কাজ বন্ধ করে দেন। এ ঘটনায় এলাকায় বেশ কয়েকবার তিনি দেন দরবারের উদ্যোগ নিলেও স্কুল কর্তৃপক্ষ তাতে সাড়া দেয়নি। পরে সোমবার (২৯ আগস্ট) জাহাঙ্গীর আলম নির্মাণাধীন ঘরের ভিটেতে মাটি ভরাট করান। পরদিন মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের নির্দেশে স্কুলের শিক্ষার্থীরা ও অন্যান্য শিক্ষকরা উল্লেখিত স্থানে নির্মাণাধীন ঘর ভাংচুর করে ইট, সিমেন্ট, রড, টিন জোরপূর্বক নিয়ে যায়। এসময় পার্শ্ববর্তী মুনসুর উদ্দিনের টিনের চালা ঘরটিও ভাংচুর করা হয়। খবর পেয়ে গৌরীপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। ভোক্তভোগী জাহাঙ্গীর আলম জানান উক্ত জমির দলিল সহ যাবতীয় রেকর্ড তাদের নামে থাকা স্বত্বেও স্কুল কর্তৃপক্ষ ঘর উত্তোলনে বাঁধা দিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করিয়েছে। এছাড়াও মুক্তিযোদ্ধাদের সম্পর্কে বাজে মন্তব্য করেন প্রধান শিক্ষক শাহ মোঃ মহসীন। গোবিন্দপুর হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক শাহ মোঃ মহসীন জানান জাহাঙ্গীর আলম যে স্থানে ঘর উত্তোলন করছিলেন সেই জায়গাটি দীর্ঘদিন ধরে স্কুলের মাঠ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এই জমিটি তার দাদা মরহুম তাহের উদ্দিন মুন্সী ও পিতা মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আব্দুল মান্নান মোখিক ভাবে স্কুলের নামে দিয়েছিলেন। এসময় মুক্তিযোদ্ধা সম্পর্কে বাজে মন্তব্যে কথা অস্বীকার করেন তিনি। এক প্রশ্নের জবাবে বলেন নির্মানাধীন ঘর ভাংচুরের জন্য তিনি কাউকে নির্দেশ দেননি। স্কুলের বিক্ষোব্দ শিক্ষার্থীরা ও এলাকাবাসী ভাংচুরের ঘটনাটি করেছে। মইলাকান্দা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রিয়াদুজ্জামান রিয়াদ বলেন উক্ত জমিটি দীর্ঘদিন ধরে খেলার মাঠ হিসেবে গোবিন্দপুর হাই স্কুলের দখলে ছিল।