বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০১:১৯ পূর্বাহ্ন
মশিউর রহমান কাউসার, গৌরীপুর : ময়মনসিংহের গৌরীপুরে খেলার মাঠে আন্তঃ স্কুল ফুটবল প্রতিযোগীতা ফাইনাল খেলায় বিজয়ী দল নুরুল অমিন খান উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের উপর হামলা চালিয়েছে পরাজিত আর.কে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের উৎশৃংখল শিক্ষার্থীরা। পরে বিজয়ী স্কুলের প্রতিষ্ঠানে ও অভিভাবকদের বাসায়ও ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে তারা। রবিবার (২১ আগস্ট) খেলা শেষে সন্ধ্যায় এই হামলার ঘটনায় অন্তত ৩০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গৌরীপুর থানার পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। জানা গেছে গৌরীপুর মাদ্রাসা ও মাধ্যমিক স্কুল ক্রীড়া সমিতির উদ্যোগে আয়োজিত ওই দিন বিকেলে খেলার মাঠে গৌরীপুর আর.কে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় বনাম নুরুল আমিন খান উচ্চ বিদ্যালয়ের অঞ্চল ভিত্তিক ফুটবল প্রতিযোগীতার ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। খেলার নির্ধারিত সময়ে ০১-০১ গোলে ম্যাচ ড্র হয়। পরে ট্রাইবেকারে নুরুল আমিন খান উচ্চ বিদ্যালয়ের টিম বিজয়ী হয়। এসময় আর.কে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের কিছু উৎশৃংখল ছাত্র পরাজয় মেনে নিতে না পেরে বিজয়ী স্কুলের খেলোয়ার, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের উপর অতর্কিতে হামলা চালায় এবং তাদেরকে উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার অফিসে আধা ঘন্টা পর্যন্ত অবরূদ্ধ করে রাখে। এসময় গৌরীপুর থানার পুলিশ তাদেরকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে। এর কিছুক্ষন পর সন্ধ্যায় এই ঘটনার জের ধরে শহরের উত্তর বাজারে নুরুল আমিন খান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠানে ও এলাকায় অভিভাবকদের বাসায় ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে আর.কে স্কুলের ৪০/৫০ জন শিক্ষার্থী। নুরুল আমিন খান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আজিজুল হক উক্ত নিন্দনীয় হামলার জন্য আর.কে স্কুলের শিক্ষকদের দায়ী করে বলেন, হামলায় স্কুলের শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন, রহমত উল্লাহ, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মোস্তাফা কামাল ও শিক্ষার্থী মাসুদ, সোহেল, আকাশ, ফারুক, শিমুল, ইমরান সহ প্রায় ৩০ জন আহত হয়। তিনি বলেন স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্তক্রমে উক্ত হামলার ঘটনার সাথে জড়িত উৎশৃংখল শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে গৌরীপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে। উক্ত ফুটবল প্রতিযোগীতার সদস্য সচিব উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, ঘটনার সময় গৌরীপুর থানার পুলিশকে খবর দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা করেছি। গৌরীপুর আর.কে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক আব্দুল মালেক ও বদরুল আলম বলেন, তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সর্বাতœক চেষ্টা করেছেন। যারা এই ঘটনার সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে একাডেমিক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।