গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি ॥
ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলায় পর পর দু’টি বাল্য বিয়ে সম্পন্ন হলেও প্রশাসনকে জানানোর পরও এব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি বলে অভিযোগ ওঠেছে। জানা গেছে, সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাতে উপজেলার ১নং মাইলাকান্দা ইউনিয়নের লামাপাড়া গ্রামের আ: বারেকের মেয়ে লামাপাড়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী সাবিনা আক্তারের একই গ্রামের জনৈক যুবকের সাথে বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে । এলাকার পক্ষ থেকে বাল্য বিয়ে বিরোধী স্বেচ্ছাসেবীদের একজন (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মর্জিনা আক্তারকে একাধিকবার মোবাইলে চেষ্টা করেও জানাতে পারেনি। উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শারমীন শাহজাদীকে এ বিষয়ে জানানো হলে তিনি গৌরীপুর থেকে বদলী হয়ে গেছেন বলে জানান। পরে রাত ১টায় কোন প্রকার কাবিন ছাড়াই বিয়েটি সম্পন্ন হয়। অপরদিকে উপজেলার ৭নং রামগোপালপুর ইউনিয়নের ধুরুয়া গ্রামের জয়নালের মেয়ে ধরুয়া নাজিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী লাবনী আক্তার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার জিথর গ্রামের জনৈক যুবকের সাথে মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিয়ে সম্পন্ন হয়। এ ব্যাপারে এলাকাবাসী ও বাল্য বিয়ে বিরোধী স্বেচ্ছাসেবীদের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মর্জিনা আক্তার, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা অনুভা বিশ্বাস ও গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জকে একাধিকবার জানানো হয়। কিন্তু বিকেল ৫টায় কোন প্রকার কাবিন ছাড়াই অবশেষে বিয়ে সম্পন্ন হয়। এ ব্যাপারে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা জানান, আমি জানার পর মোবাইল ফোনে বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ করে মেয়ে প্রাপ্ত বয়ষ্ক বলে জেনেছি। পরে ইউএনও স্যারকে এ বিষয়ে অবহিত করেছি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, আমি এ বিষয়ে জেনে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছিলাম। ডিসি অফিসে মিটিং থাকার কারণে তিনি সেখানে যেতে পারিনি। #
আপনার মতামত লিখুন :