সোমবার, ২৯ মে ২০২৩, ১১:১২ পূর্বাহ্ন
ফুলবাড়িয়া নিউজ ২৪ডটকম : খালেদা জিয়া নেই তাই গুলশান কার্যালয়ে যান না সেই দাপুটে কর্মকর্তা, কর্মচারি ও সাবেক আমলারা। সেখানে এখন অবস্থান করছেন পাঁচ কর্মচারি। এদের মধ্যে দুইজন পিয়ন, একজন অফিস সহকারি, একজন মাওলানা ও অফিসের কাজের মহিলা। নেই চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী (সিএসএফ) সদস্যরাও। গুলশান কার্যালয় সূত্রে এসব তথ্য মিলেছে।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া গত ১৫ সেপ্টেম্বর চোখ ও হাঁটু চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যাওয়ার পর থেকে তার রাজনৈতিক কার্যালয় ঘিরে বিরাজ করছে একধরণের নিরবতা। রাতে আলো জ্বলে আর দিনে নেভে। এর বাইরে সেখানে কোনো রাজনৈতিক কর্মকান্ড নেই। প্রায় দুইমাস ধরে লন্ডনে অবস্থান করছেন বেগম খালেদা জিয়া।
বিএনপি নেত্রী যখন দেশে থাকেন তখন তার রাজনৈতিক কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের ভয়ে তটস্থ থাকতে হয় দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ তৃণমুল নেতাকর্মীদের। গুলশান এসব কর্মকর্তাদের ওপর নির্ভর করতে হয়ে দলের নেতাকর্মীদের। তাদের ইচ্ছা অনিচ্ছায় অনেকের ভাগ্য খোলে আবার অনেকের ভাগ্যের শিকে ছেড়ে। কিন্তু সেই দাপুটে কর্মকর্তা ও কর্মচারিরাও এখন আসেন না কার্যালয়ে। পাশাপাশি নেতাকর্মীদেরও নেই পদচারণা। মধ্যরাত অবদি কর্মচাঞ্চল্য থাকা এই গুরুত্বপূর্ণ কার্যালয়টি এখন দিন রাত ধরে বিরাজ করছে এক ধরণের নিস্তবদ্ধতা।
সূত্র জানায়, বেগম খালেদা জিয়ার ব্যাক্তিগত সহকারী শিমুল বিশ্বাস কার্যালয়ে আসেন না। তিনি অধিকাংশ সময় অবস্থান করে খালেদা জিয়ার গুলশানের ফিরোজা বাসভবনে। তিনি সেখান থেকে প্রয়োজনীয় দেখভাল করেন। তবে বাইরে কারোর সঙ্গে তিনি সাক্ষাত দেননা।
বিএনপি চেয়াপারসনের মিডিয়ার দায়িত্বে থাকা প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান ও মিডিয়া উইংয়ের দুই সহযোগি শায়রুল কবির খান ও শামসুদ্দিন “িার তাদেরও দেখা নেই। চলতি বছরে গুলশান কার্যালয়ে বেগম খালেদা জিয়ার সর্বশেষ সংবাদ সম্মেলনে প্রেস সচিবকে দেখা গিয়েছিলো। এরপর থেকে মিডিয়া কর্মীদের সঙ্গে তার কোনো যোগাযোগ নেই। প্রায় এক বছর ধরে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নম্বরটি বন্ধ রয়েছে।
সুত্র জানায়, চেয়ারপারসনের প্রেস সচিব এখন সক্রিয় রয়েছেন তার ব্যাক্তিগত ফেসবুকে। সেখানে তিনি মাঝে মধ্যে বেগম খালেদা জিয়া ও দলের বিষয়ে দুই একটি স্ট্যাটাস দেন। এছাড়া নিজ কন্ঠে কবিতা আবৃত্তি ও কবিতা পোষ্ট করে সময় কাটে এই কর্মকর্তার। এরবাইরে সাংবাদিকদের সঙ্গে তার যোগাযোগ নেই। যদিও এব্যপারে তার বক্তব্যের জন্য চেষ্টা করেও তার নম্বরটি বন্ধ থাকায় তা সম্ভব হয়নি।
অন্যদিকে তার দুই সহযোগি তারাও এখন নিরবতা পালন করছেন। তাদের কাছে কোনো তথ্য জানতে চাইলে তারা কোনো তথ্য দিতে পারেন না। আবার তারা যে তথ্য দেন তা নিয়ে মাঝে মধ্যে বিপাকে পড়তে হয় মিডিয়া কর্মীদের। তাদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে দলের মধ্যে।
মিডিয়া উইংয়ের এই সদস্যদের মধ্যে আবার একধাপ এগিয়ে আছেন শায়রুল কবির খান। তিনি মিডিয়া কর্মীদের কাছে নিজেকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে উপস্থাপন করে থাকেন। তার কথা মত না চললে মিডিয়া কর্মীদের কোনো তথ্য দেননা। এছাড়া তার পছন্দের মিডিয়া কর্মিদের সঙ্গে দহরম মহরম স্বজনপ্রীতির অভিযোগও রয়েছে। যাদের সঙ্গে তার স্বজনপ্রীতি রয়েছে কেবলমাত্র তাদেরকে তিনি তথ্য দিয়ে থাকেন।
সূত্র আমাদের সময় ডটকম