সোমবার, ০৫ Jun ২০২৩, ১০:১৮ অপরাহ্ন

কে এই এস আই বাহাদুর!

Raj bahaফুলবাড়িয়া নিউজ ২৪ডটকম : ঘুষ গ্রহণকারী এস আই আব্দুর রউফ বাহাদুর চাকুরীর ১বছর মেয়াদেই এলাকায় পুলিশী দাপট দেখিয়ে মানুষ জিম্মি, চাকুরী দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ঘুষ গ্রহণ, তথ্য গোপন ফাঁসসহ নানাবিধ অভিযোগ উঠেছে। এস আই বাহাদুর’র গ্রামের বাড়ীতে গেলে মুখ খোলেন স্থানীয়রা। সে ৭নং বাক্তা ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর গ্রামের আ. মান্নানের ১ম তরফের একমাত্র সন্তান।
জানা যায়, ২০০৭সালের মাঝামাঝিতে ১নং নাওগাঁও ইউনিয়নের মো. শাহজাহানের মেয়ে পলাশীহাটা উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের ৯ম শ্রেণী পড়–য়া ঈষিতা কে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। কিছুদিন আতœ গোপনে থেকে কোর্ট ম্যারিজ করে তারা। পরবর্তীতে মেয়ে পক্ষ তাকে না মেনে ২মাস পর মেয়েকে দিয়ে স্বামী তালাক দেয়ানো হয়। পরে বাংলালিংক সার্ভিস সেন্টারে চাকুরী নেয় লম্পট বাহাদুর। লবিং দেয় উপজেলা সদরের ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের সাথে। ছাত্রদলের সক্রিয় সদস্য বাহাদুর মিশে যান আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে। ছাত্রলীগের মুখোশ পড়েন বাহাদুর। পুলিশের এস আই পদে ২০১৪ সালে চাকুরীতে যোগদান করে সে। পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সক্রিয় সদস্য নিজেকে পরোপকারী সাজার চেষ্টা করে। কিন্তু চোর শুনে না ধর্মের কাহিনী। ২০১৫সালের মার্চ মাসে জৈনক আব্দুর রাজ্জাক ও খোরশেদ আলী কে জিম্মি করে ঢাকার বাসানটেক এলাকা থেকে দেড় লক্ষ উৎকোচ গ্রহণ করে। পরে সেটি বিভিন্ন মিডিয়ায় ধামাচাপা দেয় সে। কিছু দিন যেতে না যেতেই উত্তরা থানা এলাকায় আবারও তার বিরুদ্ধে আড়াই লাখ টাকা এক ব্যবসায়ীকে জিম্মি কওে ঘুষ নেয়ার অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত হোন বাহাদুর। এর আগেও একই থানায় কর্মরত অবস্থায় ঘুষ নেয়ার অভিযোগ উঠলে তার বন্ধু-বান্ধবদের হস্তক্ষেপে সেটি মিমাংসা হয়। প্রায় ১বছর পূর্বে চাকুরী পাওয়া এস আই বাহাদুর প্রায় অর্ধ কোটি টাকা খরচ করে বাড়ীতে ৪তলা ফাউন্ডেশন করে ১ম তলার কাজ শেষ করেন। তার বাবা একজন জুয়াড়ো বলে এলাকায় ব্যাপক বিস্তৃত। তার বাবা আ. মান্নান বিয়ে করেন ৩টি। বাজারে লাকড়ী বিক্রিওয়ালাকে বিয়ে আলোচনায় আসেন তার বাবা। ৩বিয়ে করে ক্ষান্ত হননি মান্নান। এরপরও তার বিরুদ্ধে অনেক মেয়ের ইজ্জত হননের অভিযোগ করেন এলাকাবাসী। প্রায় সহায় সম্বলহীন আ. মান্নান বাড়ী ভিটে বাদে ৬কাঠা জমির মালিক হয়ে এলাকায় পুলিশের বাবা বলে ত্রাস সৃষ্টির চেষ্টা চালান।
আরও জানা যায়, এস আই পদে চাকুরী হওয়ার পূর্বে এন এস আই তদন্ত বাহাদুরের পক্ষে না আসায় পরবর্তীতে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে তদন্ত রিপোর্ট তার পক্ষে নেয়া হয়।
৩মাস পূর্বে ছুটিতে বাড়ীতে এসে পুলীশি দাপটে মৃত মৌ. আব্দুস সামাদের পুত্র মুখলেছ বেধড়ক মারপিট করে মারাতœক আহত করেন। কিন্তু নিরীহ পরিবার আল্লাহর কাছে বিচার ছেড়ে দেন।
এলাকাবাসীরা জানান, বাহাদুরের চাচা ওয়ার্ড বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আ. মতিন, তার মামা কালাদহ ইউনিয়ন বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আজহার মাস্টার পুরো পরিবার বিএনপি’র রাজনীতির সাথে উৎপোতভাবে জড়িত। সে নিজেও একজন বিএনপি’র সহযোগি সংগঠন ছাত্রদলের নেতা। তার বাবার অপকর্মের ফিরিস্তি তুলে ধরে স্থানীয়রা জানান, এই যদি তার বাবার চরিত্র হয় তাহলে, তার ছেলের চরিত্র কি রকম তা সহজেই অনুমেয়।
এ ব্যাপারে মুখলেছ জানান, প্রায় ৩মাস পূর্বে আমাকে বাড়ী থেকে ডেকে এনে বাহাদুর ও তার বাবা মান্নান মেরে আহত করে পরে গুলি করার হুমকি প্রদান করেছে। আমরা নিরীহ মানুষ আল্লাহর কাছে বিচার দিছি।

Please Share This Post in Your Social Media

কপিরাইট © ফুলবাড়িয়ানিউজ২৪ ডট কম ২০২০
Design & Developed BY A K Mahfuzur Rahman