সোমবার, ০৫ Jun ২০২৩, ১১:৫১ অপরাহ্ন
ফুলবাড়িয়া নিউজ 24 ডটকম: পৌরসভার পর এবার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করেছে ক্ষমতাসীণ আওয়ামী লীগ। মাঠ পর্যায়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে শুরু হয়েছে নির্বাচনের ডামাডোল। মনোনয়ন প্রত্যাশীরা এলাকায় প্রচারণার পাশাপাশি যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করছেন কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে। দলীয় কার্যালয়ের সঙ্গে তারা ধ্বর্না দিচ্ছেন নেতাদের বাসা-অফিসেও। মনোনয়ন বোর্ডে না থাকলেও এমপিদের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছেন অনেকেই।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, নৌকা প্রতীকে এই নির্বাচনেও নিরঙ্কুশ বিজয় পেতে চায় ক্ষমতাসীনরা। ইতিমধ্যেই এ নির্বাচনের মনোনয়ন প্রদ্ধতি চূড়ান্ত করেছে দলটির হাইকমান্ড। ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীর নাম সুপারিশ করে স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডে কাছে পাঠাবে। বোর্ড চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করবে।
আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এরই মধ্যে এ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের তৎপরতা শুরু হয়ে গেছে। মনোনয়ন বোর্ডের সদস্যদের পাশাপাশি যোগাযোগের চেষ্টা করছেন কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গেও। গত কয়েকদিনে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এসেও অনেক মনোনয়ন প্রত্যাশী ঢু মেরে গেছেন বলেও কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে। দলীয় সভাপতির কার্যালয়ের এক কর্মচারী নাম না প্রকাশ না করার শর্তে এ প্রতিবেদককে বলেন, যে কোনও নির্বাচনের আগেই অফিসে ভির বেড়ে যায়। এখনো প্রতিদিনই অনেকেই আসছেন। নেতাদের সঙ্গে দেখা করে তাদের সালাম দেওয়ার চেষ্টা করছেন।
এবার মনোনয়ন বোর্ডে এমপিদের রাখা না হলেও সম্ভাব্য প্রার্থীদের অনেকেই যোগাযোগ রাখছেন তাদের সঙ্গেও। অনেকেই মনে করছেন- মনোনয়ন বোর্ডে না রাখলেও আড়ালে থেকে ছড়ি ঘোরাবেন তারাই। কারণ হিসেবে তারা মনে করছেন, অনেক এমপিই জেলা বা উপজেলা কমিটিতে আছেন। তাছাড়া দল ক্ষমতায় থাকায় ইউনিয়ন ও উপজেলা নেতাদের বেশিরভাগই এমপিদের সিদ্ধান্তের বাইরে যাবেন না। কারণ এর সঙ্গে স্বার্থ আছে।
যদিও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা বলছেন সংসদ সদস্যদের না রাখার সিদ্ধান্ত প্রার্থী বাছাইয়ে কোনও প্রভাব ফেলবে না। এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ বলেন, কে বেশি ভাল প্রার্থী তা এমপিদের চেয়ে ইউনিয়ন ও উপজেলা নেতারাই ভাল জানেন। একই প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে স্থানীয় জনপ্রিয়তার ভিত্তিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মনোনয়ন করা হবে। এই নির্বাচনে প্রার্থী বাছাইয়ে সংসদ সদস্যদের কোনও হাত থাকবে না বলে দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সূত্রমতে, তৃণমূলের জনপ্রিয় নেতাদেরই নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করার সমর্থন দেবে আওয়ামী লীগ। তবে বিগত পৌরসভা নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে যারা কাজ করেছেন তারা ইউপি নির্বাচনে নৌকা প্রতীক না পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। একই সঙ্গে বিদ্রোহী ঠেকতে পৌরসভা নির্বাচনে যারা দলীয় সিদ্ধান্ত না মেনে নির্বাচন করেছেন তদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্ত মূলক ব্যবস্থা নেওয়ার পক্ষে দলের হাই কমান্ড। সর্বশেষ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহীর বৈঠকে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ করতে ৭ সাংগঠনিক সম্পাদককে তাগাদা দেওয়া হয়েছে বলেও জানা গেছে।