কৃষক পরিবারকে উচ্ছেদের চেষ্টা : বাড়িতে হামলা ভাঙচুর লুটপাট : মহিলাসহ আহত-৪


প্রকাশের সময় : সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৬, ১০:১৩ AM / ১৩২
কৃষক পরিবারকে উচ্ছেদের চেষ্টা : বাড়িতে হামলা ভাঙচুর  লুটপাট : মহিলাসহ আহত-৪

index-6

মোঃ জাহিদুল ইসলাম খান ভালুকা : ভালুকায় একটি নিরিহ কৃষক পরিবারকে উচ্ছদের চেষ্টায় প্রভাবশালী কর্তৃক একাধিক সাজানো মামলা দিয়ে হয়রানিসহ বসত বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। এ সময় মহিলাসহ ৪ জন আহত হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার দুপুরে উপজেলার রাংচাপড়া গ্রামে। বর্তমানে পরিবারটি বাড়ি ঘর ছেড়ে অন্যত্র অবস্থান করছেন হামলাকারীদের ভয়ে। এ ঘটনায় মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হলেও তা আমলে নেয়া হচ্ছেনা বলে অভিযোগ ভূক্তভোগীদের।

অভিযোগে জানা যায়, উপজেলা রাংচাপড়া গ্রামের কৃষক আবুল হোসেন রাংচাপড়া মৌজার ১০৩৬ ও ১০৪১ নম্বর দাগে দুই একর ২৫ শতাংশ জমি পৈত্রিক ও ক্রয় সূত্রে মালিক হয়ে দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে ভোগ দখলে আছেন। উক্ত জমির মাঝে সাড়ে ১১ শতাংশ জমি নিয়ে প্রতিবেশি ওয়াদুদ মিয়া, মোঃ রতন মিয়া ও কমল মিয়ার সাথে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে আদালতে মামলা চলমান থাকার পরও সম্প্রতি ওই জমিটুকু প্রতিপক্ষরা জবর দখলে নিয়ে নেন। এদিকে প্রতিপক্ষরা কৃষক আবুল হোসেনের ছেলে শামীম মিয়ার বিরুদ্ধে ৭/৮ টি মিথ্যা ও হয়রানিমূল মামলা দিয়ে বাড়ি ছাড়া করে। গত ১৭ সেপ্টেম্বর শনিবার দুপুরে পতিপক্ষ ওয়াদুদ ও রতন মিয়ার নেতৃত্বে ১৫/২০ জনের একটি সংঘবদ্ধদল দেশিয় অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে কৃষক আবুল হোসেনের বাড়িতে হামালা চালায়। এ সময় সন্ত্রাসীরা বাড়ির কাটাতারের সিমাণা প্রাচীর ভাংচুর করে। পরে বসত বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যপক লুটপাট চালায়। বাঁধা দিতে গেলে আবুল হোসেনের স্ত্রী জুবেদা খাতুন (৫২), মেয়ে রুনা আক্তার (২৩), শামীম (৩০), ফারুক (৩৩) ও প্রতিবেশি সারোয়ার আহত হন। এ ঘটনায় আবুল হোসেনের ছেলে শামীম বাদি হয়ে প্রতিপক্ষ রতন মিয়া, কমল মিয়া, ওয়াদুদ মিয়া, আশা মিয়া, সোহাগ মিয়া, আল আমীন ও ফরহাদকে বিবাদী করে ভালুকা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

ক্ষতিগ্রস্ত আবুল হোসেনের ছেলে শামীম মিয়া জানান, প্রতিপক্ষরা আমাদের বাড়ি-ঘর লুটপাট ও ভাঙচুর করে আমাদের বিরুদ্ধেই মিথ্যে মামলা দায়ের করেছেন। এদিকে আমি অভিযোগ দেয়ার চারদিন পার হলেও তা আমলে নেয়া হচ্ছেনা। অপরদিকে বিবাদীরা আমার ও আমার পরিবারের লোকদের বিভিন্ন ধরণের হুমকী দিয়ে আসছেন। বর্তমানে ওদের ভয়ে আমাদেরকে বাড়ি-ঘর ছেড়ে অন্যত্র অবস্থান করতে হচ্ছে।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ওয়াদুদ গংদের সাথে মোবাইলে বার বার চেষ্টা করেও তাদের মন্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। তবে তার স্ত্রী আনোয়ারা বেগম মোবাইলে সাংবাদিকদের জানান, আবুল হোসেনের সাথে তাদের রাস্তা নিয়ে বিরোধ রয়েছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ভালুকা মডেল থানার সেকেন্ড অফিসার ফায়েজুর রহমান জানান, এক পক্ষের মামালার তদন্তের দায়িত্ব আমাকে দেয়া হলেও এখনো ঘটনাস্থলে যাওয়া সম্ভব হয়নি।