একটি সেতুর অপোয় ফুলবাড়িয়ায় অর্ধল মানুষ


প্রকাশের সময় : জানুয়ারী ৬, ২০১৬, ৪:৪৯ AM / ২৩৭
একটি সেতুর অপোয় ফুলবাড়িয়ায় অর্ধল মানুষ

Hatu dater satuআঃ কাদের আকন্দ :
দিন বদলাচ্ছে, যুগের স্রোতে পাল্টাচ্ছে জনপদের চেহারা। যোগাযোগের েেত্র আসছে অনেক পরির্বতন। কিন্ত এই পরিবর্তনের অংশীদার হতে পারছে না ফুলবাড়িয়া উপজেলার ৩ ইউনিয়নের প্রায় অর্ধল মানুষ। একটি সেতুর জন্য দ্বিখন্ডিত হয়ে আছে ৩ইউনিয়নের সার্বিক যোগাযোগ ব্যবস্থা। ফুলবাড়িয়ায় উপজেলার এনায়েতপুর, কালাদহ ও রাঙ্গামাটিয়া ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত বাজুয়া নদীর প্রশাখা এটি। নদীর দুই পারে তিনটি ইউনিয়ন। নদীর উপর সংযোগ সেতু না থাকায় স্কুল, কলেজ ও মাদরাসা শিার্থী এবং সাধারন জনগনের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবীর পরও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপ সংযোগসেতু নির্মানের উদ্যোগ গ্রহন না করায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচেছ বছরের পর বছর । তারপরও থেমে থাকে না চলাচল, প্রচন্ড ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো নির্মান করে চলাচল করলেও বর্ষা মওসুমে এলাকাবাসীর দুভোগের সীমা থাকেনা। নদীটি প্রস্থে ও দিক দিয়ে এতটা বড় না হলেও বর্ষা মওসুমে ঠিকই খরস্রোতা নদীতে রূপান্তরিত হয়। ফলে বর্ষা মওসুমে কোন মতেই সাঁকো দিয়ে চলাচল করা সম্ভব হয় না। বাধ্য হয়ে কলা গাছের বেলা কিংবা নৌকা দিয়ে নদী পার হতে দেখা যায়। নদীটির দনি পঞ্চিম পাড়ে এনায়েতপুর ও রাঙ্গামাটিয়া ইউনিয়ন, উত্তর পাড়ে কালাদহ ইউনিয়ন, কিছু অংশ উত্তর পাড়ে এনায়েতপুর ইউনিয়নে পড়ছে। এনায়েতপুর ইউনিয়নের, গোপীনাথপুর গ্রাম যা সবজি গ্রামবলে পরিচিত। পার্শ্বে গোপীনাথপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ফুলতলা উচ্চবিদ্যালয়, এনায়েতপুর ইউনিয়ন পরিষদ, আলাদীনস পার্ক, এনায়েতপুর বাজার ন্মিমাধ্যমিক বিদ্যালয়, অনিক নগর পার্ক, ফুলতলা দাখিল মাদ্রসা, ফুলতলা হাফেজিয়া এতিমখানা, উত্তর পাড়ে রয়েছে এনায়েতপুর ফাজিল মাদ্রাসা, নবী নগর বালিকা দাখিল মাদ্রাসা, শুশুতি বাজার, শুশুতি উচ্চ বিদ্যালয়, অনন্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিবরামপুর উচ্চ বিদ্যালয়, আখতর সুলতানা মহিলা মহা বিদ্যালয়, আছিম বাজার, শাহাবুদ্দিন ডিগ্রি কলেজ, জামান একাডেমি এবং অদুরেই ফুলবাড়িয়া উপজেলা পরিষদ। নদীর উভয় পাড়ের বিস্তৃত এলাকাজুড়ে কয়েক সহস্রাধিক মানুষের বসবাস। জানাগেছে, প্রতিদিন এ অঞ্চলের প্রায় কয়েক শতাধিক ছাত্র-ছাত্রীকে এসব শিা প্রতিষ্ঠানে নিয়মত আসা-যাওয়া করতে হয়। এমনকি দনি পাড়ের মানুষসহ পথচারীরাও দৈননিদন কাজে প্রতিনিয়ত দনি পাড়ে,আবার উত্তর পাড়ের জনসাধারনকে নানা প্রয়োজনে দনি পাড়ে যেতে হয়। তাই এলাকাবাসি বাধ্য হয়ে গ্রাম থেকে বাঁশ সংগ্রহ করে স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে বাঁশের সাঁকো নির্মান করে যাতায়াত অব্যাহত রেখেছেন। এই সাঁকো দিয়ে কোনরকম পায়ে হেটে পারাপার সম্ভব হলেও কোন প্রকারের যানবাহন আনা নেয়া সম্ভব হয় না। মারাত্বক ঝুকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন নদী পার হচ্ছে স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও অন্যান্য শিা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীসহ এলাকার সর্বসাধারন ও পথচারী। হেলে-দোলে এই সাঁকো দিয়ে চলাচলে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়তে হয় শিশু, মেয়ে, রোগি, বৃদ্ধ নারী পুরুষ ও গর্ভবর্তী মহিলারা। তাছাড়া নদীর উভয় পাড়ের মানুষ তাদের উৎপাদিত খাদ্যশস্য কৃষিপণ্যসহ বিভিন্ন প্রকার কাঁচামাল স্থানীয় বাজার কিংবা দুরের কোন হাঁট বাজারে নিয়ে আসতে অসুবিধার সম্মুখীন হন। অন্যদিকে স্কুলে যাতায়াতের সময় কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীরা এক হাতে বই ও পায়ের জুতো নিয়ে পার হতে দেখা যায়। এতে ঝুঁকিময় সাঁকোদিয়ে অনেকটা ভীতির মধ্যে অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠিয়ে থাকেন। এলাকাবাসি মনে করেন-এখানে একটি সেতু নির্মিত হলে দু’পাড়ের মানুষের যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নতি হবে। সেই সঙ্গে খুলে যাবে তিন ইউনিয়নের ব্যবসা-বাণিজ্যের অপার সম্ভাবনার দুয়ার। বদলে যেতে পারে এখানাকার মানুষের ভাগ্যের চাকা। আর তাই দীর্ঘ প্রতিতি এনায়েতপুর ইউনিয়নের হাতু ডাক্তারে ঘাটে সংযোগ সেতুর আশায় অপোর প্রহর গুনছেন ফুলবাড়িয়া উপজেলার এনায়েতপুর ইউনিয়ন, রাঙামাটিয়া ইউনিয়ন ও কালাদহ ইউনিয়নের বাজুয়া নদীর উভয় পাড়ের এলাকার সর্বসাধারণ। এলাকার বিশিষ্টজনদের সঙ্গে আলাপ করে জানাযায়, এখানে একটি সংযোগ সেতুর দাবী করে আসছেন তারা বহু আগ থেকেই। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের অনেকই প্রতিশ্র্তি দিলেও তা আজও বাস্তবায়িত হয়নি। তবে হাল ছাড়েন নি এলাকাবাসী। এব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলি মোঃ মনিরুজ্জামান ফুলবাড়িয়া নিউজ ২৪ডট কম কে বলেন, ফুলবাড়িয়ায় নতুন সেতু নির্মানের তালিকায় এনায়েতপুরে হাতু ডাক্তার ঘাট বাজুয়া নদীর উপর সংযোগ সেতুর প্রকল্পও সংযুক্ত আছে। ইতিমধ্যে সেতু নির্মানের জন্য দৈর্ঘ্য মাপ আনা হয়েছে মাটি পরিার কাজ শুরু হবে। ২০১৬সালের মধ্যেই এনায়েতপুর ইউনিয়নের বাজুয়া নদীর হাতু ডাক্তারের ঘাটে একটি সেতু হবে।