বুধবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৩, ০৮:৫৪ পূর্বাহ্ন

ঈশ্বরগঞ্জে সরকারি ঘর পেল সেই পুত্রহারা দম্পতি

রতন ভৌমিক, ঈশ্বরগঞ্জ : ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার উচাখিলা ইউনিয়নের নারায়নপুর গ্রামের পুত্রহারা দম্পতি দুলাল মিয়া ও মুর্শিদা বেগম সরকারি পাকা ঘর পেয়ে খুশি। গত সোমবার (৩১ আগস্ট) উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জাকির হোসেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাসহ দুলাল মিয়ার পরিবারের কাছে নতুন ঘর আনুষ্টানিকভাবে হস্তান্তর করেন । পাশাপাশি আগুনের লেলিহান শিখায় একমাত্র ঘর ও পুত্র হারানোর স্মৃতিতে কাতর দুলাল মিয়ার পরিবার । তারপরও সন্তানদের নিয়ে আশায় বুক বেঁধে সুখের দিনের অপেক্ষা দুলাল দম্পতির ।
জানা গেছে, ওই গ্রামের হতদরিদ্র দুলাল মিয়ার একমাত্র ঘরের একপাশে থাকত দুইটি গরু,অন্যপাশে তিন মেয়ে ও এক ছেলে নিয়ে বাস করতো দুলাল দম্পতি। বারান্দায় চলতো রান্নাবান্নার কাজ। ২০১৯ সালের ২১ নভেম্বর রাতে বারান্দার চুলার আগুনে সূত্রপাত হয়ে সারা ঘর ছড়িয়ে পড়ে। এসময় দুলাল বাজারে ও স্ত্রী মুর্শিদা পাশের বাড়ি ছিল। তিন বোন বই পড়ছিল এবং একমাত্র ছেলে ওয়াজকুরুনি জুনায়েদ ঘুমিয়ে ছিল। সন্তানদের আর্তচিৎকারে দৌড়ে এলেও মা বাঁচাতে পারেনি সন্তানকে। চোখের সামনে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করে ওয়াজকুরুনি। এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে ঘটনার নির্মমতায় হতবাক হয়ে যান তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে রুমানা তুয়া। গৃহহারা পরিবারের কষ্ট লাঘবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সরকারি ঘর বরাদ্দের। এরই ধারাবাহিকতায় এবছর উপজেলা প্রশাসন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয়ের টিআর/কাবিখা কর্মসূচির আওতায় দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ (পাকা বাড়ি) নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে।
ঘর হস্তান্তরের সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি নূরুল ইসলাম খান সুরুজ,প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
দুলাল মিয়ার স্ত্রী মুর্শিদা বেগম বলেন, সরকারি ঘর পেয়ে ঘরের অভাব দূর হল। আজ যদি আমার সন্তান বেঁচে থাকতো তাহলে আমার কোনো দুঃখ ছিলনা ।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জাকির হোসেন বলেন, আগুনে গৃহহীন হওয়া দুলালের কষ্টের কথা ভেবেই তৎকালীন ইউএনও ঘর বরাদ্দের ব্যবস্থা করেন। আমরা দুলালের কাছে নতুন ঘরটি হস্তান্তর করেছি ।

Please Share This Post in Your Social Media

কপিরাইট © ফুলবাড়িয়ানিউজ২৪ ডট কম ২০২০
Design & Developed BY A K Mahfuzur Rahman