ফুলবাড়িয়া নিউজ 24ডটকম: ‘ওই যে গু-া, আম্মুকে মারসে। ওরা হোন্ডা করে ওখানে দাঁড়ায়সিল। ওখানে তিনজন ছিল। তারপর একজন দৌড়ায়ে আইসা আম্মুকে নিচে ফালাই দিয়ে চাকু ঢুকাই দিসিল। আরেকজন গুলি মেরে মেরে ফেলসে। তারপর আম্মুর মুখের থেকে রক্ত বের হচ্ছিল।’
এভাবেই এনটিভির কাছে মায়ের হত্যাকা-ের বর্ণনা দিয়েছে ঢাকার পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তার ও গৃহিণী নাহিদা খানম মিতু দম্পতির ছেলে আক্তার মাহমুদ মাহির (৭)। সে ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুলের ২য়শ্রেণির ছাত্র।
রোববার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে চট্টগ্রামের জিইসি মোড় এলাকায় ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাচ্ছিলেন মিতু। পথে মোটরসাইকেলে করে আসা দুর্বৃত্তরা তাকে ঘিরে ফেলে। শিশুপুত্রকে দুর্বৃত্তরা তার মায়ের হাত থেকে ছিনিয়ে নেয়। তারা মাহমুদা খানমের সঙ্গে কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়ে। ছেলেকে একটু দূরে ধরে রাখে এক দুর্বৃত্ত, এরপরে প্রথমে ছুরিকাঘাত ও পরে গুলি করে হত্যা করে মাহমুদা খানমকে। অসহায় শিশুপুত্রের সামনে মৃত্যুর কোলে ঢলে পরেন চট্টগ্রামের সাহসী পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের স্ত্রী।পরে মায়ের নিথর দেহের কাছে ছুটে আসে ছোট্ট মাহির।
মিতু তাঁর দুই সন্তানকে নিয়ে জিইসি মোড় এলাকার একটি বাসায় থাকতেন। তাঁর স্বামী বাবুল আক্তার তিন দিন আগে বদলি হয়ে ঢাকায় এসপি হিসেবে যোগদান করেন।
এর আগে বাবুল আক্তার চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
সূত্র- আমাদের সময় ডটকম
আপনার মতামত লিখুন :