বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০২:১০ পূর্বাহ্ন
ফুলবাড়ীয়া নিউজ 24 ডটকম : ফুলবাড়ীয়া উপজেলার ০৩নং কুশামাইল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী (চশমা) বীর মুক্তিযুদ্ধা এম.এ জব্বার মহান মুক্তিযুদ্ধে ও দলীয় অবদানের কথা তুলে ধরে বলেন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দল থেকে মনোনয়নের আশ্বাস এবং তৃণমূলে আমাকে সমর্থন পাওয়ার পর অজ্ঞাত কারণে আমাকে আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। এলাকার জনগণের চাপে মুখে আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করি। গত ০৭মে ইউপি নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। নিউগী কুশমাইল কেন্দ্রে ভোট গণনার পর প্রিজাইডিং অফিসার ফলাফল ঘোষণা করে সেখানে আমি উপস্থিত ছিলাম। একপর্যায়ে নৌকার প্রার্থী শামছুল হক প্রিজাইডিং অফিসারের কাছ থেকে ফলাফল সীট ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনাটি তাৎক্ষনিক ভাবে আমি ম্যাজিষ্ট্রেট (এসিল্যান্ড) ম্যাডামকে অবগত করালে তিনি প্রিজাইডিং অফিসার কে উদ্ধার করে ব্যালট বক্সসহ অন্যান্য সরঞ্জাম নিয়ে যান। আমি সব গুলো কেন্দ্রের ফলাফলে ১১৫ ভোট বেশি পেয়েছি। পর মুহুর্তে আমি উপজেলা পরিষদে গিয়ে রিটানিং অফিসারকে পূনরায় ভোট গণনা করে আমার ইউনিয়নের ফলাফল ঘোষণা দেওয়ার জন্য বার বার অনুরোধ করেও ব্যর্থ হই। এখানে এমপি সাহেবের ছেলে প্রভাব খাটানোর কারণে ফলাফল ঘোষণা করা হয়নি বলে আমার মনে হয়। আমি ও আমার এলাকার শতশত লোকজন উপজেলা পরিষদ সারারাত পাহাড়া দেই। রবিবার সকালে ইউএনও ম্যাডাম উনার অফিসে আমাকে ডাকেন এবং আমাকে বলেন আপনার লোকজন পরিষদ ঘোরাও করে রেখেছে- তাদেরকে সরানোর ব্যবস্থা নেন, আপনার ফলাফল বিষয়টার ব্যাপারে ব্যবস্থা নিব, এ আশ্বাস পেয়ে আমার লোকজন নিয়ে আমি চলে আসি। আমার ফলাফল ছিনিয়ে নিতে আমাদের এমপি সাহেব ও তার পরিবার ষড়যন্ত্র করছে, প্রশাসন নিরপেক্ষ ভূমিকা রাখুক, ফলাফল ঘোষণা করুক এটা আমার দাবি। রবিবার বিকেল ৪.৩০টায় তার বাস ভবনে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এম.এ জব্বার একথা বলেন। এ প্রসঙ্গে উপজেলা আওয়ামীলীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক এড. ইমদাদুল হক সেলিম বলেন নিউগী কুশমাইল কেন্দ্রে ফলাফল সীট ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটলো পুলিশ বিভিন্ন কেন্দ্রে গুলি চালালো এখানে কেন গুলি চালালোনা ? আমাদের এমপি সাহেব নির্বাচনে কোন ধরনের প্রভাব বিস্তার করেনি, তার পরিবারকে হেয় প্রতিপন্ন করার ষড়যন্ত্র মাত্র। আমি পরিষদ হল রুমে সকলের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করে চলে আসি কাজেই আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পূণ অসত্য।