বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০১:৪৪ পূর্বাহ্ন

আমার ফুলবাড়ীয়া পর্ব তিন- বনানী বিশ্বাস

গত পর্বে ছবি সংযোযন করতে পারিনি। তাই অনেকেই অনুরোধ করেছেন ছবি দিতে। ছবিগুলো আলাদা ভাবে দিতে পারলে বর্নণায় সুবিধা হত। টেকনিক্যাল কারনে সেটা পারিনি। তবে সিরিয়ালি ছবিগুলোর বর্ননা দেব। (তবে আমরা ছবিগুলো সাজানে‍ার চেষ্টা করছি- 24ডটকম)

1প্রকৃতির অসম্ভব সৌন্দর্য পদ্মফুল : এটি বড়বিলার পদ্ম। এখানকার পদ্মগুলোর আয়তনের মত পদ্মফুল আমি কোথাও দেখিনি। জুলাই আগস্টে এই বিলটি ভরে যায় পদ্মফুলে। নীল আকাশের সাথে সেই পদ্মফুলের সৌন্দর্য এক অপূর্ব মোহনীয় পরিবেশ তৈরী করে।পদ্মফুল আমার ভীষন প্রিয়। সে কারনে আমার বড় সন্তানের নাম রেখেছি শতদল। তার আর একটি নাম বর্ষণ। অর্থাৎ সে হচ্ছে আমার প্রিয় ঋতু বর্ষায় প্রস্ফুটিত শতদল।

3

সন্তোষপুর রিজার্ভ ফরেস্টের বানর : এই বাগানের সৌন্দর্য এই বানরগুলো। বনে তাদের ক্ষুধা নিবারনের তেমন কিছু নেই। দর্শনার্থী যারা যায় তারা কিছু খাবার নিয়ে যায়। বনবিভাগ থেকে কিছু খাবার দেয়। আমি যতবার গিয়েছি গাড়ি বোঝাই করে খাবার নিয়েছি। খাবার শেষ হলে ওরা আমার গাড়ির ভিতর ঢুকে খুঁজে দেখে এসেছে আরো খাবার আছে কিনা। আমি আসার আগে ফুড অফিস থেকে নিয়মিত কিছু খাবার পাঠাতাম। আসলে ঐ অসহায় প্রানীদের পর্যাপ্ত খাবার আমরা কখনোই দিতে পারিনি। জীববৈচিত্র সংরক্ষনে ওদের বাঁচিয়ে রাখা খুব দরকার।

4

রাবার : এটি মূলত রাবার উৎপাদন কারখানা। রাবার গাছ থেকে রস সংগ্রহ করে এখানে রাবার তৈরী করা হয়। রস সংগ্রহের পদ্ধতিটা মূলত খেজুর গাছ থেকে যেভাবে রস সংগ্রহ করা হয় তেমনি উপায়ে রস সংগ্রহ করা হয়। তারপর কারখানায় এনে আমাদের ব্যবহার উপযোগী রাবার বানানো হয়।

5

অর্কিড : বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অর্কিড বাগান এটি। প্রায় ত্রিশ একর জায়গার উপর এ বাগানটি তৈরী করেছে। ডার্ডগ্রুপ এ বাগানের মালিক। অসংখ্য প্রজাতির অর্কিড এখানে রয়েছে। এখানে তাদের নিজস্ব টিস্যু কালচার সেন্টার রয়েছে। থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া থেকে তারা হরেক রকমের অর্কিড এনে এ বাগানটিকে সাজিয়েছে। এই বাগানের অর্কিড দেশীয় চাহিদা মিটিয়ে এখন বহির্বিশ্বে ও বিক্রি হচ্ছে।

6

আনারস বাগান : নাওগা, রাংগামাটিয়া ইউনিয়নে প্রচুর পরিমানে আানারস জন্মে। সামাজিক বনায়নে বড় গাছগুলোর ভিতর দিয়ে একই সাথে আনারসের চাষ হয়। এতে কৃষকেরা দ্বিগুন লাভবান হচ্ছে।

7

হলুদ উত্তোলন : এখানে প্রচুর পরিমানে হলুদের চাষ হয়। বনভূমি এলাকার উর্বর মাটি হলুদ উৎপাদনের জন্য খুবই উপযোগী।

8

চিনি : এখানকারর মাটি আখ উৎপাদনের উপযোগী। এখানকার আখ চিকন। ছবির যন্ত্রের সাহায্যে চিনি উৎপাদিত হয়। এই চিনি লালা চিনি নামে বিখ্যাত। দেখলে এই চিনিটা ততটা পছন্দ হবেনা। তবে ভেজালহীন এই চিনি স্বাস্থের কোন ক্ষতি করেনা।

10

আলাদীনস পার্ক : আলাউদ্দীন সাহেবের বাড়ী সাভার। প্রায় পঞ্চাশ একর জমির উপর নির্মিত দৃষ্টিনন্দন এ পার্কটি। ময়মনসিংহ জেলায় একমাত্র এমুজমেন্ট পার্ক এটি। জেলা সদর থেকে এটির দূরত্ব প্রায় পঞ্চাশ কিলোমিটার। পার্কের ভিতরে রয়েছে প্রায় দশটির মত পিকনিক স্পট। তিনটি সুইমিং পুল। বাচ্চাদের জন্য অসংখ্য রাইডার। বিশ্রামের জন্য রয়েছে বিশ্রামাগার।

এছাড়াও রয়েছে প্রকৃতির নিজ হাতে তৈরী অসংখ্য নয়নাভিরাম স্পট। দেখার আমন্ত্রন রইল।
(চলবে)

সম্পাদনায়- আব্দুস ছাত্তার

Please Share This Post in Your Social Media

কপিরাইট © ফুলবাড়িয়ানিউজ২৪ ডট কম ২০২০
Design & Developed BY A K Mahfuzur Rahman