বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০১:৩৯ পূর্বাহ্ন
বিনোদন ডেস্ক : আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশকে তুলে ধরার স্বপ্ন দেখছেন ‘ম্যাঙ্গোলি-চ্যানেল আই সেরা নাচিয়ে’ সিজন থ্রির চ্যাম্পিয়ন হৃদি। রাশিয়ায় জন্ম হওয়া হৃদি বাংলাদেশের সংস্কৃতির প্রতি আগেই থেকেই যুক্ত ছিলেন তাই দূর দেশ থেকে বাংলাদেশে ছুঁটে আসা তার। মনে একরাশ স্বপ্ন আর কঠোর অনুশীলনের মাধ্যমে আজ সেরার মুকুটটি তার মাথায়।
সেরা মুকুট পাওয়ার সেসময়কার অনুভূতি জানিয়ে হৃদি বলেন, মঞ্চে যখন আমার নামটি ঘোষণা করা হয়, সত্যিই আমি বিশ্বাস করতে পারিনি তবে আত্মবিশ্বাস প্রথম থেকেই ছিল। আসলে মুকুটটি পরার সময় আমি কান্না করে দিয়েছিলাম। বাইরের দেশ থেকে এসে সত্যিই সবার এমন ভালোবাসা এবং সাপোর্ট পাব কখনই কল্পনা করিনি।
বাইরে থেকে এসে বাংলাদেশের রিয়েলিটি জয় কেমন লাগছে প্রশ্ন করলে হৃদি বলেন, আমি খুব আনন্দিত। আমি আসলে রাশিয়ায় থাকলেও বাংলাদেশের প্রতি আমার ভালোবাসা ছোটবেলা থেকেই ছিল। আর এখানে যখন এলাম, তখন আমার একটু মনে হয়নি অন্যদেশে এসেছি। মূলত আমি সেরা নাচিয়ে সিজন টু’এ অংশ নিতে চেয়েও পারেনি। আমার মায়ের কারণে আমি আজ এখানে।
কিভাবে সেরা নাচিয়ে প্রোগ্রামে আসা? উত্তরে মুকুট জয়ী কন্যা বলেন, মূলত আমার মা বাংলাদেশের প্রোগ্রাম খুব পছন্দ করেন। একদিন মা আমাকে ডেকে বললেন, সেরা নাচিয়ে আবার শুরু হচ্ছে তুমি চ্যানেল আই সেরা নাচিয়ের ফ্যান পেজে দেখো কিভাবে অডিশনে অংশ নিতে হয়। এরপর বাংলাদেশে এসে অডিশনে অংশ নিলাম। তখন থেকেই মনে মনে ভেবে নিয়েছে সেরা দশের মধ্যে আমাকে থাকতে হবে। যখন দেখলাম সেরা সাতে আমি চলে এসেছি তখন কঠোর পরিশ্রম এবং আত্মবিশ্বাসে আজ চ্যাম্পিয়ন।
পরের পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে হাস্যোজ্জ্বল হৃদি বলেন, আমার পরিকল্পনা ও স্বপ্ন সবকিছুই নৃত্যকে ঘিরে। আসলে আমি একজন ভালো নৃত্যশিল্পী এবং আন্তর্জাতিক মানের কোরিওগ্রাফার হতে চাই। আর এ জন্য আমি বিভিন্ন দেশের নৃত্য আয়ত্তে আনা আমার প্রথম পরিকল্পনা। এছাড়া আমি আন্তর্জাতিক মানের কাজ করতে চাই যেখানে বাংলাদেশেকে আমি আন্তর্জাতিক ভাবে তুলে ধরতে পারব।
আমি বাংলাদেশের পাশাপাশি রাশিয়াকে হাইলাইট করতে চাই। আমি যেহেতু রাশিয়া বেড়ে উঠেছি সেহেতু রাশিয়ার জন্যই আমার কিছু দায়িত্ব রয়েছে, সেগুলো আমি করতে চাই। তবে বিশেষভাবে আমি বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। বিশেষ করে চ্যানেল আইয়ের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। তারা আমাকে যে প্ল্যাটর্ফম দিয়েছেন, তারা যেভাবে প্রথম থেকে আমাকে সাপোর্ট দিয়েছেন, ভালোবেসেছেন সত্যিই আমি খুবই মুগ্ধ।