আদিবাসি নির্যাতন ৪মন চিনির দামে ২কাঠা জমি দখল অতপর


প্রকাশের সময় : এপ্রিল ২৫, ২০২১, ১১:১৬ AM / ১৫২০
আদিবাসি নির্যাতন ৪মন চিনির দামে ২কাঠা জমি দখল অতপর

ফুলবাড়িয়া নিউজ 24 ডট কম : ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার রাঙ্গামাটিয়া ইউনিয়নের হাতীলেইট বিলপাড়ে এক আদিবাসি পরিবারে নির্যাতন চালিয়ে কৃষি জমির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিসহ বিধবা মহিলাকে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করার অভিযোগ উঠেছে। জনৈক মৃত সুশীল চন্দ্র কোচ একই গ্রামের আ: রাজ্জাক খা গংদের কাছ থেকে প্রায় ২৫ বছর যাবত আগে ৪মন চিনির দামে টাকা ধার নিলে সুদে আসলে ২কাঠা জমি বেদখল দেয় আর সেই জমি আবার তাদের কাছে বিক্রির তালবাহানায় এমন ঘটনা ঘটেছে ২৩এপ্রিল শুক্রবার।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিলপাড়ে এক খন্ডক জমিতে বাস করেন মৃত সুশীল চন্দ্র কোচ এর স্ত্রী সহ ৩সন্তানাদি। বাড়ীভিটের জমিটুকুই তার সম্পদ। বাড়ীর উত্তর পাশে জমিতে কিছু কলাগাছ, ঢেড়শ, মরিচ ও সিম বাগান। সেই জমির সকল গাছ কেটে সাবাড়। গতকাল শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে আ: রাজ্জাক খা এর নেতৃত্বে তার ৫ভাই ও ২ছেলে সন্তান সহ ৭জনে এই অমানবকি ঘটনা ঘটায়।
বিধবা মহিলা মুক্তা রানী জানান, প্রায় ২৪/২৫ বছর আগে আমার স্বামী রাজ্জাক খা এর কাছ থেকে ৪মন চিনির দামে টাকা নিয়ে একটি ভ্যান ক্রয় করেন। সেই ভ্যানের আয় দিয়ে আমাদের সংসার পরিচালিত হতো। উনি মারা যাওয়ার পর তারা বলে সুদে আসলে অনেক টাকা হইছে এই জমি আমাদের কাছে বিক্রি করেছে তোমার স্বামী। সেই থেকে তারা ভোগদখল করে। প্রায় ১ বছর আগে সেই জমি বিক্রি করার উদ্যোগ নিয়ে আমাদের কাছে প্রস্তাব পাঠায়। আমরা লালু নেতার চেম্বারে বসে স্থানীয় মেম্বার সেকান্দর সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে দেড় লাখ টাকা দাম সাব্যস্ত করে ৫০হাজার বায়না বাকী ১লাখ টাকা দলিলের সময় দেওয়ার অঙ্গীকার করি। কিন্তু দলিল হয় না আমাদের আরও কিছু টাকা দেও এমন চাপ দিলে আমরা আরও ৫০ হাজার টাকা দেই। বাকী ৫০ হাজার টাকা দলিলের সময় দেওয়া হবে বলে নেতারা জানিয়ে দেন তাদের। তারপরও যখন দলিল হয় না তখন আমাদের ৫০হাজার টাকা দেওয়ার জন্য চাপ দেয় কিন্তু আমরা তাতে রাজি না। এ জন্য আমাদের উপর নির্যাতন চালিয়েছে। আমাদের স্ব পরিবারে হত্যার হুমকি প্রদান করছে। আমাকে অনেক গালিগালাজ করেছে এমনকি আমার গায়ে হাত দিয়েছে।
প্রতিবেশিরা জানান, এমন অসহায় পরিবারের এমন নির্যাতন করা তাদের মোটেও ঠিক হয়নি। তাদের জমি তাদের কাছে বিক্রির নামে বেআইনিভাবে তাদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
ছেলে মুকুল কোচ বলেন, আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমরা ইয়াতিম মানুষ। মাকে নিয়ে আমরা খুব টানা পোড়ায় দিন কাটাই।
স্থানীয় আ’লীগ নেতা শহিদুজ্জামান আকন্দ লালু মেম্বার বলেন, ঐ জমির জন্য ওরা টাকা দিয়া রাখছে, কাওলা দিতে পারে না, তাদের ব্যর্থতা। যে কাজটা করেছে মোটেও ঠিক করেনি। আইনের আশ্রয় নেওয়া দরকার।