মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩, ০৫:০৫ পূর্বাহ্ন

অং সান সু চি’র রাজনীতিতে উঠে আসার গল্প

vlcsnap-2015-11-09-18h26m49s132-copyফুলবাড়িয়া নিউজ ২৪ডটকম : অং সান সু চি মিয়ানমারের অন্যতম রাজনৈতিক দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসির প্রধান। সু চি’র বাবা মিয়ানমারের স্বাধীনতা আন্দোলনের নায়ক জেনারেল অং সান। সু চি পড়াশুনা করেন অক্সফোর্ডের মত বিশ্বখ্যাত প্রতিষ্ঠানে। সাধারণ গৃহিনী থেকে উঠে আসেন কঠোর কঠিন রাজনৈতিক অঙ্গনে। ১৯৯১ সালে অং সান সু চি ভূষিত হন নোবেল শান্তি পুরুষ্কারেও।

নাম অং সান সু চি, বাবার নাম থেকে অং সান, বাবার নানির সূত্রে সু আর মায়ের নামের শেষ অংশ থেকে চি এই তিন পদবি মিশানে তার এ নাম। ১৯৪৫ সালের ১৯ জুন তৎকালিন ব্রিটিশ ব্রাহ্মদেশের রাজধানী ইয়াংগুনে জন্ম সু চি’র। তার বয়স যখন মাত্র দু’বছর তখন মিয়ানমারের স্বাধীনতা আন্দোলনের নায়ক জেনারেল অং সান শিকার হন গুপ্ত হত্যার। ফলে কূটনৈতিক মায়ের সঙ্গে পাড়ি জমান ভারতে।

১৯৭১ সালে অং সান সু চি জীবন সঙ্গি হিসেবে বেঁছে নেন ব্রিটিশ নাগরিক মাইকেল অ্যারিশকে। এ দুই দম্পত্তির ঘরে আসে আলেকজান্ডার ও কিং নামের দুই পুত্র সন্তান। ১৯৮৮ সালে সু চি অসুস্থ মাকে দেখতে ফিরে আসে জন্মভূমি মিয়ানমারে। জড়িয়ে জান গণতান্ত্রিক আন্দোলনে। গঠন করেন ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) আর এতে সামরিক জান্তার চক্ষুশুলে পরিণত হয় সু চি। সামরিক জান্তা গৃহবন্দি করে সু চি-কে। ১৯৯০ সালে সাধারণ নির্বাচনে সু চি’র দল জয়লাভ করলেও ক্ষমতা হস্তান্তর করে নি সামরিক জান্তা। কিন্তু আন্দোলন চালিয়ে জান সু চি, পরিচিতি পান আপোষহীন গণতন্ত্রকামী হিসেবে। যা আরো দৃঢ় হয় ১৯৯১ সালে শান্তিতে নোবেল পুরুষ্কারে ভূষিত হওয়ার মাধ্যমে।

তবে সু চির ব্যক্তিগত ভাবমূর্তি কিছুটা হোচট খেয়েছে রোহিঙ্গা ইস্যুতে তার নিরবতায়। ২০১৫ সালের ঐতিহাসিক সাধারণ নির্বাচনে বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের সমার্থন পেতে কোনো মুসলীমকে মনোনয়ন দেয়নি তার দল।

বিদেশি নাগরিককে বিয়ে করায় প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না সু চি। সু চি’র সংগ্রামী জীবন নিয়ে নির্মিত হয়েছে চলচিত্র।-সময় টিভি

Please Share This Post in Your Social Media

কপিরাইট © ফুলবাড়িয়ানিউজ২৪ ডট কম ২০২০
Design & Developed BY A K Mahfuzur Rahman