কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব গৌরীপুরে মাওহা’য় আ,লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষ ॥ আহত-৪


প্রকাশের সময় : অক্টোবর ১৭, ২০১৭, ১:৪৬ PM
কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব গৌরীপুরে মাওহা’য় আ,লীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষ ॥ আহত-৪

imagesগৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি ঃময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার মাওহা ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের দু’পক্ষের একই সময়ে পাল্টাপাল্টি মিটিংয়ের মাইকিংকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে চারজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে ভূটিয়ারকোনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে। এতে আহত হন আব্দুর রহিম (৪৫), গোলাম মোস্তফা (২৮), ফারুক (২০) ও রমজান আলী (২৪)। জানা গেছে বুধবার (১৮ অক্টোবর) বিকেলে ইউনিয়ন আ’লীগের কার্যালয়ে স্থানীয় শফিক-বাবুল ও কালন-কবীর নেতৃত্বাধীন এ দু’পক্ষই বর্ধিত সভা আহবান করে। এলক্ষ্যে মঙ্গলবার বিকেলে এলাকায় উভয় পক্ষই মাইকিং বের করে। সন্ধ্যায় শফিক-বাবুলের ডাকা মিটিংয়ের মাইকিং চলাকালীন সময়ে কালন-কবীর গ্রুপের লোকজন অতর্কিতে হামলা করে। এসময় মাইকিংয়ে প্রচার কাজে নিয়োজিত উল্লেখিত চারজন গুরুতর আহত হয়। এর আগে ৯ অক্টোবর স্থানীয় দলীয় কার্যালয়ে একই সময়ে উল্লেখিত দু’পক্ষের নেতৃবৃন্দ মাইকিং করে মিটিং আহবান করেছিল। এসময় গৌরীপুর থানার পুলিশের হস্তক্ষেপে উভয় পক্ষের মিটিংয়ের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। এর ৮ দিন পর ফের উভয় পক্ষ একই সময়ে একই স্থানে মিটিং আহবান করায় দু’পক্ষের নেতা-কর্মীদের মাঝে বর্তমানে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা বিরাজ করছে। কমিটি নিয়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দকে মঙ্গলবার লিখিতভাবে এ বিষয়ে অবগত করেন মাওহা ইউনিয়নের ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের নেতা বাচ্চু মিয়া, ওয়াহাব মিয়া, আব্দুর রহমান, ও এখলাছ উদ্দিন। জানা গেছে ২০১২ সনে সম্মেলনে ভোটের মাধ্যমে মাওহা ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি পদে শফিকুল ইসলাম মাষ্টার ও সাধারণ সম্পাদক পদে খসরুজ্জামান বাবুল নির্বাচিত হয়ে দলীয় কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছিল। দলের শৃংখলা বিরোধী কর্মকান্ডে লিপ্ত থাকার অভিযোগে ০৫/০৬/১৪ ইং তারিখে তাদেরকে অব্যাহতি প্রদান করে উপজেলা আ’লীগ। এরপর ছফির উদ্দিনকে আহবায়ক করে একটি কমিটি অনুমোদন দেয় উপজেলা আওয়ামীলীগ। এদিকে পূর্ব কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকে অব্যাহতি প্রদান গঠনতন্ত্র মোতাবেক অবৈধ হওয়ায় জেলা আওয়ামীলীগের চাপে ছয় মাস পর ১৪/১২/১৪ ইং তারিখে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বিধু ভূষণ দাস স্বাক্ষরিত এক পত্রের মাধ্যমে তাদেরকে পুর্নবহাল করা হয়। এর প্রায় এক বছর পর উপজেলা আওয়ামীলীগ নূর মোহাম্মদ কালনকে সভাপতি ও কবীর উদ্দিনকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করে একটি পূর্নাঙ্গ কমিটি অনুমোদন করে। বর্তমান এই কমিটিকে দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক অবৈধ দাবী করছে পূর্বের কমিটির নেতৃবৃন্দ। এ নিয়ে দু’পক্ষের মাঝে এলাকায় পাল্টাপাল্টি দলীয় কর্মসূচী ঘোষণার পাশাপাশি চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এবিষয়ে মাওহা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের পূর্বের কমিটির সাধারণ সম্পাদক খসরুজ্জামান বাবুল বলেন, আমাদের কমিটি বাতিল না করে নতুন কমিটি অনুমোদন দেয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ গঠনতন্ত্র বিরোধী। আমরা নতুন কমিটির নেতৃত্ব মানিনা। উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বিধু ভূষণ দাস জানান, বিগত ইউপি নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করায় শফিকুল ইসলাম মাষ্টার ও খসরুজ্জামান বাবুলকে কেন্দ্রিয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাদের পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। তিনি নূর মোহাম্মদ কালন ও কবীর উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন বর্তমান কমিটিকে বৈধ কমিটি বলে উল্লেখ করেন। #

https://www.bkash.com/